সীমান্তের অতিরিক্ত সেনা সরাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
Published: 21st, May 2025 GMT
সংঘাতের সময় সীমান্তে মোতায়েন করা অতিরিক্ত সেনাসদস্যদের চলতি মাসের শেষ নাগাদ শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, উভয় দেশের সেনারা চলতি মাসের শেষের দিকে সংঘর্ষ-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবেন। উভয় দেশ ধাপে ধাপে, বিশেষ করে কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লাগোয়া এলাকা থেকে অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
গত মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চার দিন ধরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর এই সংঘাতে অন্তত ৭০ জন নিহত হন। কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
এনডিটিভি জানায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ১০ মে কিছুটা কমার পর ভারতের ভেতরে দেশবিরোধী কথা বলার অভিযোগে একাধিক শিক্ষাবিদ বা সাংস্কৃতিককর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এতে আতঙ্কিত হচ্ছে দেশের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু প্রশ্ন তোলায় গত রোববার আলি খান মাহমুদাবাদ নামের একজন শিক্ষাবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্মীরি পণ্ডিত অধ্যাপক নিতাশা কলের ওসিআই (ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া) কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পদোন্নতি পেয়ে জেনারেল থেকে ফিল্ড মার্শাল হয়েছেন, যা দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় তাঁকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে কমিশন: আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ খুব শিগগিরই শুরু করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ তথ্য জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
সোমবার (১৯ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দলটির সঙ্গে এটি ১৩ মে এর মূলতবি হওয়া বৈঠক।
আলী রীয়াজ বলেন, “প্রথম ধাপের সংলাপে ভিন্নমত নিয়ে বিষয়ভিত্তক আলোচনা হবে দ্বিতীয় ধাপে। আশা করছি যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিষয় ভিত্তিকভাবে আলোচনা করতে পারব।”
আরো পড়ুন:
‘স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনের সুযোগ নেই’
কেসিসি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীকে জয়ী দাবি করে মামলা
তিনি বলেন, “প্রথম পর্যায়ের সংলাপের সমাপ্তি টানব এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু করতে পারব।”
প্রথম ধাপের আলোচনার অগ্রগতি দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আলী রীয়াজ। গত দুই মাসের আলোচনায় অনেক বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হয়েছি।
তিনি বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রত্যেক অংশীদার, রাজনৈতিক দলগুলো, সুশীল সমাজ অংশীদার, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোর ভূমিকা আছে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যে সমস্ত মতামত দেওয়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার মধ্যে দিয়ে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করতে পারব বলে আমাদের দৃঢ় আশা। এবং সেভাবে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
সিপিবির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রথম ধাপের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শেষ হবে। গত ২০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সংলাপে ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করেন।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ