নটরডেমের শিক্ষার্থী ধ্রুবর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি
Published: 22nd, May 2025 GMT
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুবর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর নটরডেম কলেজের সামনে এ মানবন্ধন করে ধ্রুবর পরিবার, সহপাঠী, শুভানুধ্যায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
গত ১২ মে বেলা সোয়া ৩টার দিকে নটরডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুব নটরডেম কলেজের ‘ফাদার টিম’ ভবন থেকে নিচে পড়ে যান। সহপাঠীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও ধ্রুবর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানতে না পারায় মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারিরা।
আরো পড়ুন:
আসনের দাবিতে চবির হলগেটে শিক্ষার্থীদের তালা
রাবির ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার
মানববন্ধনে ধ্রুবর বাবা বানিব্রত দাস চঞ্চল বলেন, “আমার সন্তানের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখাতে সহযোগিতা করছে না কলেজ প্রশাসন।”
মা তমা রানী সিং বলেন, “অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে নটরডেম কলেজে ভর্তি করিয়েছিলাম, আস্থা রেখেছিলাম কলেজের প্রতি। সেই কলেজে আমার ছেলে মারা গেল, আমার সন্তানের মৃত্যুর দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। আমি আমার সন্তানের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই।”
মানববন্ধনে ধ্রুবর সহপাঠীরাও বন্ধুর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত অন্যরা বলেন, নটরডেম কলেজ বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলেজ পরিচালনায় তাদের দক্ষতার বিষয়ের সবাই অবহিত। এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রহস্যজনক। আমরা এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি এবং এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ র বর তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথবাহিনী বন্ধ করল জনতার বাজার, তাৎক্ষণিক জমে উঠল মেলার বাজার
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজারে পশুরহাট শনিবার বসতে দেয়নি আইনশৃংখলা বাহিনী। জনতার বাজার বন্ধ ঘোষণার পরপরই বাজার রক্ষার জন্য ‘দিনারপুর পরগনাবাসী’ ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়।
জনতার বাজার বন্ধ হয়ে গেলে হাজীগঞ্জ মেলার বাজারে তাৎক্ষণিক বসানো হয় গরুর হাট। জনতার বাজার থেকে ওই বাজারটি ৫০০ থেকে ১ হাজার ফুট দূরে।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের বিশেষ টিম জনতার বাজারের আশপাশে অবস্থান নেয়। এই বাজারে আসা লোকজন ও ব্যবসায়ীদের গরু নিয়ে বাজার ত্যাগ করার জন্য মাইকিং করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে বিপাকে পড়েন বাজারে আসা হাজারো গরু ব্যবসায়ী। পরে তারা নিরূপায় হয়ে পাশের হাজীগঞ্জ মেলার বাজারে গরু নিয়ে ওঠেন। মুহুর্তের মধ্যে সেখানে কয়েক হাজার গরু জমায়েত হলে পুরো বাজারটি জমে ওঠে।
জনতার বাজার পরিচালনা কমিটি বলছে, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন তাদের বাজার বন্ধ করে দিয়েছে এই অভিযোগে দিনারপুর পরগনাবাসী নামে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহমদ। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ডা. আবুল কালাম আজাদ, আব্দুশ শহীদ, আব্দুর রশিদ, ময়না মিয়া, কাজী জাহিদ আহমদ, সাবেক মেম্বার স্বপন মিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফরিদুর রহমান হাটটিকে অবৈধ ঘোষণা করে ৩১ জানুয়ারির পর হাট বন্ধের নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মাইকিং ও নোটিশও টাঙানো হয়। নির্দেশনায় উল্লেখ ছিল, মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা অনুমোদনহীন হাট পরিচালনা করলে হাট-বাজার আইন ২০২৩ এবং মহাসড়ক আইন ২০২১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হবে। তবে এসব নির্দেশনার বিরুদ্ধে জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল আহমদ হাইকোর্টে রিট করেন। তখন জেলা প্রশাসনের আদেশ হাইকোর্ট স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর পর থেকে বাজারটি থেকে কোনো রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে না। ফলে বাজার পরিচালনা কমিটি প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করছে।