গাজীপুরের কাপাসিয়ার দোকান লুটে বাধা দেওয়ায় সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে টোক ইউনিয়নের বীরউজুলী বাজারে এ হামলা হয়। আহত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের মামলায় পুলিশ ইতোমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

সাখাওয়াত হোসেন টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামের মো. নবর আলীর ছেলে। তিনি ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালে বীরউজুলী বাজারে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি কিনে পাকা ভবনে দুটি দোকান তৈরি করেন। সেগুলো ভাড়া দেওয়া। কিছুদিন ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাহিদুল ইসলাম সোহান, মো.

আনাস, মো. সোহাগ ও মো. শহীদ ওই ভবনটি দখলের পাঁয়তারা করে। তারা ভাড়াটিয়াদের দোকানঘর খালি করার নির্দেশ দেয়। ভয়ে এক ভাড়াটিয়া চলে গেছেন। সেখানে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ইলেকট্রনিকসের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। 

বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীরা সাখাওয়াত হোসেনের দোকানের তালা ভেঙে পণ্য লুট শুরু করে। ছুটিতে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাধা দেন। এ সময় তর্কের জেরে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে তাঁর হাত ও পিঠে কোপায়। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। 

হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, সেনাসদস্যের ওপর হামলা ও তাঁর দোকানের পণ্য লুটের ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ছয়জনের নামে এ মামলা করা হয়। জাহিদুল ইসলাম সোহান ও মো. আনাস নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ