প্রথম আলো ডটকমের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী অফলাইন রেফ্রিজারেটর মেলা আজ শনিবার শেষ হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ২২ মে তিন দিনের এই অফলাইন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনলাইনে এই মেলা চলবে ২৭ মে পর্যন্ত।

মেলার ব্যাংকিং অংশীদার ইস্টার্ন ব্যাংক এবং পাওয়ার্ড বাই এমইপি গ্রুপ। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেক্ট্রোমার্ট (কনকা), সিঙ্গার-বেকো, র‍্যাংগ্‌স ইলেকট্রনিকস (সনি-র‍্যাংগ্‌স), ট্রান্সকম ডিজিটাল, স্মার্ট ইলেকট্রনিকস (সনি-স্মার্ট) এবং মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিকস।

অফলাইনে অনুষ্ঠিত এই মেলা প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরে ছিল বিশেষ ছাড়, সহজ কিস্তি সুবিধা, ব্যাংক অফারসহ নানা উপহার। মেলায় অনেকে এসেছেন সপরিবার। আবার তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।  

মেলা চলাকালে প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইনস্ট্যান্ট র‍্যাফল ড্র’। বিজয়ীরা পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কার। অনলাইন মেলা শেষে আয়োজন করা হবে মেগা র‌্যাফল ড্র। বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন ফ্রিজ, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা বিমান টিকিট, স্মার্টফোনসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। আজ মহাখালী থেকে ফ্রিজ কিনতে মেলায় এসেছিলেন মো.

শাহজাহান। সিঙ্গার-বেকো ব্র্যান্ডের চেস্ট ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ কিনে স্ক্যাচ কার্ড ঘষে মাইক্রোওভেন পুরস্কার পান তিনি। পরে শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি পণ্য কিনতে এসে অন্য পণ্য উপহার পেলে তো ভালোই লাগে। এ রকম গোছানো, পরিচ্ছন্ন মেলা যাঁরা আয়োজন করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’

ক্রেতাদের চাহিদা, বাজেট ও প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলো বিবেচনায় রেখে প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছে এই রেফ্রিজারেটর মেলার। বিশেষ করে ঈদুল আজহা সামনে রেখে যেসব পরিবার নতুন রেফ্রিজারেটর কেনার কথা ভাবছে, তাদের জন্য এই মেলা ছিল ভালো সুযোগ।

মেলায় ক্রেতাদের সাড়া বেশ ভালো ছিল বলে জানান স্যামসাংয়ের প্রশিক্ষণ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার দেওয়ান মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদে ডিপ ফ্রিজের চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে আমাদের নো ফ্রস্ট ফ্রিজটির প্রতি সবাই আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশা করি, শুধু ঈদ নয়; অন্য উৎসব উপলক্ষেও প্রথম আলো এমন আয়োজন করবে।’

সিঙ্গারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বি এম আকিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশানুরূপ বিক্রি করতে পেরেছি। মেলার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে আমাদের রেফ্রিজারেটরের সুযোগ–সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছে। অনেকেই নগদ ও কিস্তিতে পণ্য কিনেছেন।’

ওয়ালটনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপাল অফিসার জুয়েল গাজী বলেন, ‘ক্রেতারা আমাদের নতুন মডেলগুলো বেশি পছন্দ করছেন। নতুন ফিচার জানার পরে তাঁদের আগ্রহ আরও বাড়ছে। প্রথম দিন একটু কম হলেও তিন দিনের মোট বিক্রিতে আমরা খুশি।’
ঈদের মতো একটি উৎসব সামনে রেখে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ক্রেতা ও ব্র্যান্ড উভয়ের জন্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। অনলাইনে ২৭ মে পর্যন্ত মেলার বিস্তারিত জানা যাবে www.refrigeratormela.pro ওয়েবসাইটে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ক র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা

সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সিডনির ঐতিহাসিক টাউন হল যেন পরিণত হলো এক রঙিন উৎসবের মঞ্চে। ঝকঝকে আলোর ঝলকানি, দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা আর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে আসা অতিথিদের পদচারণে মনে হচ্ছিল এ যেন কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অথচ এটি ছিল ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠান, যেখানে এশিয়ার সেরা নারী ফুটবল দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছিল।

বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দরজা খোলার আগেই টাউন হলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন নানা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের হাতে নিজ নিজ দেশের পতাকা, পরনে ঐতিহ্যবাহী পোশাক। অস্ট্রেলিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া, জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন, ইরানসহ ১১টি দেশের ফুটবল দলের প্রতিনিধি, অধিনায়ক বা কোচের কেউ না কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব ফুটবলের এই মিলনমেলায় সবাই নিজ দেশের নাম উজ্জ্বল করতে এসেছেন। কিন্তু এই আলো ঝলমলে মঞ্চে ছিলেন না বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোনো প্রতিনিধি।

অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ব ফুটবলের এত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজন হলো, অথচ বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি নেই—এটা মেনে নেওয়া যায় না, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখানে এসেছিলাম আমাদের মেয়েদের দেখতে, নিজেদের দেশের জার্সি গায়ে দেওয়া তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলাম।সাঈদ ফয়েজ, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংস্কৃতিক কর্মী ও ইভেন্ট সংগঠক

অথচ এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার বছর। এই প্রথম বাংলাদেশের মেয়েরা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু সেই গৌরবময় মুহূর্তে, যখন বিশ্ব ফুটবল পরিবার সিডনিতে একত্র, তখন মঞ্চে অনুপস্থিত বাংলাদেশ। না কোনো ফুটবলার, না কোচ, না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা। এই অনুপস্থিতি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং বেদনাদায়ক, কারণ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়সহ অন্যান্য দেশের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, বিশ্ব গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের দেশকে তুলে ধরেছেন, আর স্মৃতির ক্যামেরায় ধরে রাখছেন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের জায়গাটিতে খাঁ খাঁ শূন্যতা।

ভারত নারী দলের মিডফিল্ডার সংগীতা বাসফোর ড্র–তে বাংলাদেশের নাম তোলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন