‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২৩ সালে। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন ঢালিউড অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই সিনেমার জন্য তিনি পরিশ্রমিক নেন মাত্র এক টাকা। বিষয়টি নিয়ে সে সময়ও ব্যাপক আলোচনায় ওঠে এসেছিলেন এ নায়ক। শুধু তাই নয়, এক টাকা পারিশ্রমিকের বিপরীতে পূর্বাচলে রাজউকের প্লট নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা ওঠে বিভিন্ন মহলে।সমকালকে দেওয়া এক স্বাক্ষৎকারে এই দুই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শুভ।

আরিফিন শুভ বলেন, “আশ্চর্য লাগে এই সমালোচনা শুনে মাঝে মাঝে মনে হয়– আমি বুঝি পারিশ্রমিক না নিয়ে কোনো বড় অপরাধ করে ফেলেছি! চুরি করিনি, দুর্নীতি করিনি, দেশের ক্ষতি করিনি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে আমাকে ঘিরে এই একতরফা সমালোচনা? আমি যদি বাইরে ১০০ টাকায় কাজ করে এখানে ১০ হাজার টাকা দাবি করতাম–তখন অন্তত সমালোচনার একটা ভিত্তি থাকত। নিজের শ্রমের দাম কি কেউ নিজে ঠিক করে না? আপনিও কি নিজের পছন্দমতো বেতনে চাকরি করছেন না? আর এটাই প্রথম না– কাজের ক্ষেত্রে টাকাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেইনি, আমার কাছে গুরুত্ব পায় টিম, গল্প এসবই। সবশেষ ‘উনিশ ২০’-এর কথাই ধরুন, যেভাবে চুক্তি হয়েছিল, পুরো টাকা নেইনি। চাইলে প্রযোজকের কাছ থেকে শুনতে পারেন।”

ওই সিনেমায় ১ টাকা পারিশ্রমিকের জন্য গেল সরকার আপনাকে পূর্বাচলে জমি উপহার পেয়েছেন- এমন প্রশ্নে উত্তরে শুভ বলেন, “১ টাকার পারিশ্রমিক আর পূর্বাচলের জমি– এই দুই বিষয়ে যে মুখরোচক গল্পটা ছড়ানো হয়েছে, সেটা যতটা শোনা যাচ্ছে, বাস্তবতা থেকে ঠিক ততটাই দূরে। ফেসবুকে তো যা খুশি বলা যায়– প্রমাণ লাগে না, দায়ও নিতে হয় না।”

শুভ বলেন, “রাজউকের ওয়েবসাইটে গেলে একদম স্পষ্ট দেখা যায়– জমি কীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ‘শিল্পী কোটায়’ এর আগেও ১৫১ জন শিল্পী প্লট পেয়েছেন– তাদের তো কেউ ‘মুজিব’ সিনেমায় ছিলেন না, কেউ ১ টাকা পারিশ্রমিক নেননি। তাহলে? আর আমি কি প্রথম শিল্পী, যিনি রাজউকের জমি পেয়েছি?”

তিনি আরও বলেন, “আমি নিয়ম মেনে আবেদন করেছি, সরকার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করেছি– যেমন বাকিরাও করেছেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রেই গল্পটা অন্যরকমভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যেন সিনেমা আর জমি কোনো লেনদেনের অংশ! আসলে উদ্দেশ্য পরিষ্কার– তথ্য তুলে ধরা নয়, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো। আর বিভ্রান্তি তৈরির জন্য সত্যের চেয়ে মিথ্যাটা বেশি কার্যকর।”

এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে অরিফিন শুভ অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’। সিনেমাটি নিয়ে শুভ বলেন, “এই গল্প এখনকার। ইন্টারনেট যুগে একটা অসাবধান ক্লিক পুরো জীবন বদলে দিতে পারে– এটাই দেখানো হয়েছে। সাহসী বলেই করেছি, দরকারি বলেই করেছি। অভিভাবক হোন বা তরুণ– যারা অনলাইনে থাকেন, সবারই দেখা উচিত। চোখ বন্ধ রাখলে বিপদ থেমে থাকে না।”

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ শ ভ বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ