গভীর রাতে লোকালয়ে ফিরে এল হাতির পাল, বাড়িতে হামলায় নারীর মৃত্যু
Published: 30th, May 2025 GMT
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার বাতকুচি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধার নাম সুরতন নেছা (৬০)। তিনি উপজেলার বাতকুচি গ্রামের মৃত রঙ্গু শেখের স্ত্রী।
আরও পড়ুননালিতাবাড়ী সীমান্তে ৬ বসতঘর ভেঙে ধান-চাল খেয়ে গেল বন্য হাতির দল২৭ মে ২০২৫বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাওধারা-কাটাবাড়ি পাহাড়ের টিলায় ৫-৬ দিন ধরে ৩৫-৪০টি বন্য হাতি অবস্থান করছিল। গত কয়েক দিনে বাতকুচি বিট কার্যালয়, দাওধারা-কাটাবাড়ি এলাকা ও মধুটিলা ইকো পার্কের ক্যানটিনসহ কয়েকটি এলাকায় হাতির পালের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সম্পদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বৃষ্টির মধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাতকুচি এলাকায় আবার হানা দেয় হাতির দলটি। এ সময় গ্রামবাসী মশাল জ্বালিয়ে ও হইহুল্লোড় করে হাতিগুলোকে বাতকুচি জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে দেয়। পরে রাত তিনটার দিকে দলটি আবার ফিরে এসে সুরতন নেছার ঘরে হানা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনশেরপুরে বন বিভাগের কার্যালয়ে বন্য হাতির হানা, আসবাব তছনছ২৭ মে ২০২৫এ ঘটনার সময় সুরতন নেছা একাই বাড়িতে ছিলেন বলে জানান বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী। তিনি বলেন, ‘এলাকায় তুমুল বৃষ্টি থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারছি না। তবে পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে বলা হবে। হাতির পালটি এখনো বাতকুচি এলাকার জঙ্গলে অবস্থান করছে।’
লাশটি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর তথ্য জানিয়েছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা।
আরও পড়ুনগারো পাহাড়ে হাতির জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা ২৬ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ র উপজ ল র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
পুকুরে মিলল বস্তাবন্দী গ্রেনেড ও গুলি
কক্সবাজারের টেকনাফে একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, গ্রেনেডের বেশ কিছু সরঞ্জাম ও ২৯টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উপজেলা হ্নীলার দমদমিয়া নেচার পার্কের ভেতরে থাকা একটি পুকুর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুকুরটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পুকুরে ডুবন্ত অবস্থায় একটি বস্তা পাওয়া যায়। বস্তাটি খুলে ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১০টি হ্যান্ড গ্রেনেডের ডেটোনেটর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুকুরপাড়ে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রাইফেলের ২৭টি গুলি, পিস্তলের ২টি গুলি পড়ে ছিল। এর সঙ্গে ২ লিটার দেশি মদও পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজন থাকলেও যৌথ বাহিনীর অভিযান টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে গেছেন।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।