রাজধানীর শাহবাগের মালেক শাহ মাজার ও ডেমরা বড় ভাঙ্গায় আলাদা ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। 

নিহতরা হলেন মোহাম্মদ আল-আমিন (৩৫) এবং মোহাম্মদ  আয়নাল হোসেন (৩০)। 

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত সারে ১২টা এবং রাত আড়াইটার দিকে দুজনকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আয়নালের সহকর্মী মোহাম্মদ বাবুল রেজা জানান, আয়নাল পেশায় দর্জির কাজ করত। রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সচিবালয়ের বিপরীতে মালেক শাহ মাজারের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় জমে থাকা বৃষ্টির পানির নিচে বিদ্যুতের তারে পা জাড়িয়ে তিনি পড়ে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। 

আয়নালের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে। বাবার নাম গফুর মোল্লা।

অপরদিকে, আল-আমিনের ভাই মোহাম্মদ হাবিব জানান, আল-আমিন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। গত রাতে গ্যারেজে রিকশার ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে রাত আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আল-আমিনের বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার কাপাসিয়ায়। বাবার নাম শামসুদ্দিন মিয়া। ডেমরার বড়ভাঙ্গা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি।  

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘‘মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের  জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় ঘটনা অবগত করা হয়েছে।’’

ঢাকা/বুলবুল//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ