সারিবদ্ধভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে আগেই স্থান নেয় সংবাদকর্মীরা। একে একে পরিচালকরা এলেও অপেক্ষা ছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। ৫টা নাগাদ তাকে বহনকারী গাড়ি বিসিবিতে ঢুকতেই শুরু হয় স্লোগান, “বুলবুল ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম।”

আগে থেকেই একদল সমর্থক বিসিবিতে অবস্থান করছিলেন। তারাই বুলবুলকে স্বাগত জানান। বুলবুল ভেতরে ঢোকার পরও তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন। আজ শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে পরিচালনা পর্ষদের সভায় বুলবুলকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চাকরি ছেড়ে বিসিবিতে এসেছেন বুলবুল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধি হয়ে বুলবুল বিসিবিতে আসেন। প্রথম কাউন্সিলর, তারপর তাকে এনএসসি পরিচালক হিসেবে বিসিবিতে মনোনীত করা হয়।

আরো পড়ুন:

ফারুক আহমেদকে সরাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ

যে প্রক্রিয়ায় বিসিবির পরিচালক হবেন বুলবুল

এর আগে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাতে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বিসিবি সভাপতি পদের দায়িত্ব হারান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ: ১৩.

২ (খ) ৪) মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-এর ১৯/০৮/২০২৪ তারিখের, ৩৪.০৩.০০০০.০০৪.০৩.০২৯-৩০৭৮ সংখ্যক স্মারক মূলে ইতঃপূর্বে মনোনীত পরিচালক জনাব ফারুক আহমেদ এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ০৮ জন পরিচালক (বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ) অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করায় এবং বিপিএল সংক্রান্তে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার প্রয়োজনে জনাব ফারুক আহমেদ এর অনুকূলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ইতঃপূর্বের মনোনয়ন বাতিল করা হলো।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র ক আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রেখেছে: ছাত্রশিবির

ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র‌্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে। 
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ