জনদূর্ভোগ নিরসনে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন : মাওলানা মঈনুদ্দিন
Published: 30th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড মাসদাইর বাজার, জামালের গ্যারেজ, বেকারির মোড়, তালা ফ্যাক্টরি গলাচিপাসহ আশেপাশে এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনের দাবিতে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে মাসদাইর এলাকাবাসীর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পূর্ব থানা জামায়াতের সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা কামরুল হোসাইন এর পরিচালনায় ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ পূর্ব থানা আমির মাওলানা মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ।
এসময় তিনি বলেন "বিগত সরকার বাস্তবিক উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, জনগনের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে" এটাই ছিল তার উন্নয়ন । তাই দীর্ঘদিন মাসদাইর সহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মানুষ জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ বহন করে চলছে। সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া প্রকৃত জনদূর্ভোগ লাঘব করা সম্ভব নয়"।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আপনারা আন্তরিক সহযোগিতা করলে সে কাজ দ্রুত ও সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য সাঈদ তালুকদার, ফরিদ উদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ পূর্ব সহ: সেক্রেটারী মুন্সি আবদুস সালাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, ফয়সাল আলম, মাওলানা নূরুল ইসলাম ও এলাকাবাসী সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সদস য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে দুই দফা দাবি উত্থাপন করে দুই কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্পষ্ট বিবৃতি চান তাঁরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এ প্রশাসন আমরা এনেছি। যদি আপনারা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারেন, আপনাদের আমরা গাড়িতে তুলে দিতে বাধ্য হব। এ প্রশাসন ক্যাম্পাসে গত এক বছরে কিছুই করতে পারেনি। ছয় মাস পার হলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। হচ্ছে, হবে কিংবা প্রক্রিয়ায় আছে—এসব কথা আর বলা যাবে না। যদি কাজ করতে না পারেন, আপনারা চলে যাবেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘কোনো অছাত্র, বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। যাদের ছাত্রত্ব আছে, তাদের দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের অতি শিগগিরই সম্পূরক বৃত্তি দিতে হবে। আমরা আর কোনো অজুহাত শুনব না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনকে রোডম্যাপ ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে। যদি জকসু না হয়, দ্বিতীয়বার আন্দোলনের ডাক আসবে। আপনাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সে আন্দোলন আপনারা সামাল দিতে পারবেন না।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যেসব প্রতিনিধি আসবেন তাঁরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। তাঁরা নির্ধারণ করবেন শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবেন, কীভাবে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা যায়।