পিএসজির প্রথম, না ইন্টারের চতুর্থ শিরোপা
Published: 31st, May 2025 GMT
পিএসজির এত দিনের লালিত স্বপ্ন আজ মিউনিখে ধরা দেবে? নাকি ইন্টার মিলানের বুড়ো হাড়ের ভেলকিতেই মাত হবে! অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। জিততে পারলে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বাদ পাবে ফরাসি ক্লাবটি। আর ইন্টার মিলান নামছে চতুর্থ শিরোপার আশায়। এই ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মৌসুমের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার আশায় কাতারভিত্তিক পিএসজির মালিকরা গত কয়েক বছরে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেকে দলে টেনেছিলেন। তবে তারার হাট বসিয়েও সেই কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দেখা পাননি। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে রূপ নেওয়া ওই আসরের ফাইনাল খেলাই এই টুর্নামেন্টে পিএসজির সর্বোচ্চ সাফল্য।
তবে লুইস এনরিকের নেতৃত্বে পিএসজির যেন নবজন্ম হয়েছে। দেম্বেলে, ভিতিনহা, খাভারতাস্কেলিয়ার মতো তরুণদের হাত ধরে দুরন্ত এক দল হয়ে উঠেছে তারা। লিভারপুল, আর্সেনালের মতো ফেভারিটদের হারিয়ে ফাইনালে এসেছে। সেই তুলনায় ইতালির ক্লাবটির জৌলুস একটু কম। যদিও দুই হটফেভারিট বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে এসেছে তারা, কিন্তু দলটির অধিকাংশ খেলোয়াড় বুড়ো।
টেকটিশিয়ান হিসেবেও কোচ সিমোনে ইনজাঘি কিছুটা পিছিয়ে। অবশ্য অভিজ্ঞ স্কোয়াডের একটা সুফলও আছে। তারা ফরমেশন অনুযায়ী খেলায় বেশ পাকা, অভিজ্ঞতার কারণে ফুটবল মস্তিষ্কও তাদের টনটনে। তাই আজকের ফাইনালকে তারুণ্য বনাম অভিজ্ঞতার লড়াইয়ের ট্যাগ দেওয়াই যায়।
ফাইনালে ইন্টারের সম্ভাব্য একাদশের গড় বয়স ৩০ বছরের উপরে। সেখানে পিএসজির গড় বয়স ২৪-এর কাছাকাছি। ইন্টারের আটজন খেলোয়াড়ের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আর পিএসজির কেবল মার্কুইনহোসের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আজকের ফাইনালে এই অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
তবে পিএসজির তরুণরা যদি ‘শিরোপা জিততেই হবে’ এই চাপ না নিয়ে পুরো মৌসুমের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেন, তাহলে তাদেরকে আটকানো কঠিন হয়ে যাবে। আর্সেনালের বিপক্ষে সেমির দ্বিতীয় লেগে ২৬ পাসে দেম্বেলে গোল করেছিলেন। সেই খেলাটা খেলতে পারলেই হবে।
ইন্টারের মূল শক্তি হলো দুই স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজ ও মার্কাস থুরামের দুর্দান্ত বোঝাপড়া। তাদের রক্ষণও বেশ আঁটোসাঁটো। বাস্তোনি, আচেরবিদের রক্ষণ ভাঙা বেশ কষ্টের। পিএসজির তরুণদের জন্যই এটাই মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সর্বশেষ চার ম্যাচে দুই দলের দুটি করে জয়। এর মধ্যে ইন্টারের একটি জয় টাইব্রেকারে। আজও যদি খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়, তাহলে দুই দলের দুই তারকা গোলরক্ষকের পরীক্ষাও হয়ে যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প এসজ ইন ট র ম ল ন ইন ট র র র ফ ইন ল প এসজ র
এছাড়াও পড়ুন:
হারিসের শতকে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি বাজে পারফরম্যান্স। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর পাকিস্তান সফর মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।
লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান। তবে সেই রানও যথেষ্ট হয়নি মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে। ১৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিকেই তিন অঙ্কে রূপ দিলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। ৪৬ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় গড়া ১০৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ১৬ বল হাতে রেখেই দলকে জেতান তিনি। তার আগে ওপেনার সাইম আইয়ুব করেন ২৯ বলে ৪৫ রান।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম ১০.৪ ওভারে ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। দেশের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে ওপেনিংয়ে এটি পঞ্চম শতরান জুটি। তবে এই জুটি ভাঙতেই ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬৬ রান আসে ইমনের ব্যাট থেকে। ৩৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া ইনিংসটি ছিল তার টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। অন্যদিকে তামিম করেন ৩২ বলে ৪২ রান, তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলীরা। আর তাতে দুইশো রানের আগেই ইনিংস থামে বাংলাদেশের। ১৮ বলে ২৫ করেন হৃদয়, লিটনের ব্যাটে আসে ১৮ বলে ২২, আর জাকের অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৫ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী ও আব্বাস আফ্রিদি নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফাহিম আশরাফ ও সাদাব খান।