খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নে মাইনি নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া তড়িৎ চাকমা (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মরদেহ দীঘিনালা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত তড়িৎ চাকমা কেতুচন্দ্র কারবারি পাড়ার মৃত নন্দলাল চাকমার ছেলে।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাকারিয়া।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত কুমার সাহা বলেন, শুক্রবার (৩০ মে) সকালে দীঘিনালার মাইনী নদীর বাবুছড়া অংশে লাকড়ি সংগ্রহে আসা তড়িৎ চাকমা প্রবল স্রোতে তলিয়ে যান। পরে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল এসে শনিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে ২৮ মাওবাদী নেতা-কর্মীকে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের ৭১ বিশিষ্ট নাগরিকের প্রতিবাদ

ভারতে বামপন্থী সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি-মাওবাদীর (সিপিআই-এম) সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশভা রাও ওরফে বাসভ রাজসহ ২৮ জন মাওবাদী রাজনৈতিক নেতা–কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের ৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

রোববার এক বিবৃতিতে এই নাগরিকেরা বলেন, গত ২১ মে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন কাগার’–এর মাধ্যমে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক বাসভ রাজসহ ২৮ জন মাওবাদী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর যুদ্ধের নাটক সাজানো হয়েছে।

তথাকথিত মাওবাদী দমন অভিযানের নামে একটি পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক কণ্ঠগুলো এই হত্যাকাণ্ডসহ অপারেশন কাগারে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

বিবৃতিতে অবিলম্বে অপারেশন কাগার বন্ধসহ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। বিশ্বব্যাপী বিপ্লবী, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ভারতের আদিবাসী ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী ফরিদ, মাওলানা ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, আইনজীবী মনজুর আল মতিন, সাংবাদিক আরিফুজ্জামান তুহিন প্রমুখ।

আরও পড়ুনভারতে মাওবাদী সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭ জনকে হত্যা২১ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ