গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি গার্মেন্টস কারখানার আটতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জাকির হোসেন (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড’ কারখানায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ওসি জানান, নিহত শ্রমিক জাকির হোসেন কারখানার নিয়মিত কর্মী ছিলেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ কারখানায় গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’ 

কারখানার এক সহকর্মী রাসেল আহমেদ বলেন, ‘‘জাকির ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ছুটে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। তখনও তার মধ্যে প্রাণ ছিল বলে মনে হয়েছে। পরে তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’’ 

কারখানার মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের কর্মকর্তা জুবায়ের এম বাশার বলেন, ‘‘ঘটনার সময় কারখানার অনেক কর্মকর্তা কর্মদিবস শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এমন সময় খবর পাই একজন শ্রমিক ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন। দ্রুত গিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, জাকির একাই ছাদে ছিল এবং কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে লাফ দেয়।’’ 

তিনি আরও বলেন, ‘‘জাকিরের স্বজন ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে তার মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। তবে এটি পারিবারিক কোনো কলহ থেকে হয়েছে কি না, সেটি স্পষ্ট নয়।’’ 



 

ঢাকা/রফিক/টিপু  

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন

আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।

প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
  • দুই ভাইয়ের গ্রেপ্তারের খবর ‘বিশ্বাস করতে পারছেন না’ বাবা