কোম্পানির ন্যূনতম কর ০.৬০% রাখার সুপারিশ
Published: 5th, June 2025 GMT
কোম্পানির ন্যূনতম করহার আগের মতোই রাখার সুপারিশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর দেওয়া পর্যবেক্ষণে সংগঠনটি বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে কোম্পানির ন্যূনতম করহার গ্রস প্রাপ্তির শূন্য দশমিক ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কার্যকর করহার আরও বেড়ে যাবে। এ হার আগের মতো শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশে বহাল রাখা প্রয়োজন।
এ ছাড়া বাজেটে অনলাইনে পণ্য বিক্রির কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে এফবিসিসিআই। বুধবার দেওয়া এফবিসিসিআইর বাজেট পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের কমিশনের ওপর ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেহেতু ডিজিটাল ইনক্লুশনের ক্ষেত্রে ই-কমার্স ভূমিকা রাখছে সে জন্য এ খাতের সম্প্রসারণের স্বার্থে ভ্যাটের হার বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সংগঠনটি আরও বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে নির্মাণ সংস্থার সেবার বিপরীতে ভ্যাটের হার ৭ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, সেলফ কপি পেপার, ডুপ্লেক্স বোর্ড ও কোটেড পেপারের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৭ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রীর ওপর উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৭ দশমিক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ, কটন সুতার উৎপাদন পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট করের পরিমাণ প্রতি কেজি ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নির্ধারণ, কৃত্রিম আঁশ ও অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি ইয়ার্নের উৎপাদন পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট করের পরিমাণ প্রতি কেজি ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমএস প্রডাক্টের উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত সুনির্দিষ্ট কর প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এসব খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সার্বিকভাবে বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করায় অর্থ উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ত ব এফব স স দশম ক র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
কসমেটিকস আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু কমানোর দাবি
প্রসাধনী সামগ্রী আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু কমানোর দাবি জানিয়েছে এ খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৃথিবীর সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক সবচেয়ে বেশি। অস্বাভাবিক শুল্কায়ন মূল্যের কারণে ভোক্তারা কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারছেন না। গত তিন বছর ধরেই বিভিন্ন পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর কারণে আমদানিকারকরা ব্যবসায়িক হুমকির মুখে রয়েছেন।
এরমধ্যে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কিছু পণ্যের ওপর অস্বাভাবিক ট্যারিফ ভ্যালু আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে মেকআপ, লিপস্টিক, পাউডার, ফেসওয়াশসহ কয়েকটি প্রসাধনী-সামগ্রী আমদানি পর্যায়ে ট্যারিফ ভ্যালু দ্বিগুণ বা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। এটি অস্বাভাবিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হবে, আমদানি ও রাজস্ব কমবে, চোরাচালান ও নকল পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে এ খাতের আমদানিকারক ও শ্রমিকরা বেকার হবেন।
শুল্কায়ন মূল্য কমানোর দাবি জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে, শুল্কায়ন মূল্য কমালে লাগেজ পার্টি ও চোরাচালানীর দৌরাত্ম কমে আসবে। তাতে আমদানি ও সরকারের রাজস্ব বাড়বে।