পর্যটকে মুখর চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজার
Published: 12th, June 2025 GMT
এবার ঈদুল আজহায় দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটি মিলেছে। সেই ছুটি উভভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।
ঈদের ষষ্ঠ দিনে প্রকৃতি প্রেমিরা ভিড় করছেন সবুজ চা বাগান, জাতীয় উদ্যান লাউয়া ছড়া ও মাধবপুর লেকে।
স্থানীয় রিসোর্ট মালিকদের তথ্য মতে জানা গেছে, রিসোর্টের ৯০ ভাগ রুম ভাড়া হয়ে গেছে। তাই নতুন করে আসা কোন পর্যটক ভাড়া না পেয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থানে থাকতে পারছেন না।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো.
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা পর্যটক মৌমিতা বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ছুটি থাকায় পরিবারসহ এসেছি শ্রীমঙ্গলে। অনলাইনে দেখেছি, তাই সরাসরি শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য দেখতে এলাম। তবে গরমের কারণে বাচ্চাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।”
শ্রীমঙ্গল লেমন গার্ডেন রিসোর্টের নির্বাহী পরিচালক এল.এন.এম.কে.এস সুলতান বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি পর্যটক শ্রীমঙ্গলে এসেছেন। আমাদের এখানে রুম বুকিং ছাড়াও টিকেট ক্রয় করে পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারেন।”
পরিবেশ কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দা সাজু মারচিয়াং ও আহাদ মিয়া বলেন, “এখানে বন্যপ্রাণির দেখা পেতে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন। শহরের লোকজন প্রাকৃতিক বনের গাছগাছালি ও মনোরম দৃশ্যাবলী উপভোগ করেন। বিশেষত ছুটির সময়ে পর্যটক, যানবাহনের হুড়োহুড়ি ও লোকে লোকারণ্য থাকায় বনে বিচরণকৃত বন্যপ্রাণির দেখা পাওয়া দায়। দলবদ্ধ মানুষের চিৎকার, যানবাহনের হর্ন- সব মিলিয়ে উদ্যানের জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে রীতিমতো উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।”
বনে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, বনের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের ভিড় জমানো মোটেও ঠিক নয়। এসব কারণে বন্যপ্রাণীর বিচরণক্ষেত্র বাধাগ্রস্ত হবে।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, “এ কয়েকদিনে প্রায় চার হাজার পর্যটক এসেছেন। ঈদে পর্যটকদের উপস্থিতি সব সময় বেশি থাকে। তবে বেশি পর্যটকের কারণে পরিবেশ কিছুটা বিঘ্ন হলেও এখানে গাইড রয়েছেন। পরিবেশের ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে তাদেরকে খেয়াল রাখতে বলে দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/আজিজ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সেতুটিতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্স।
পর্যটক কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত সোমবার সেতুর কিছু অংশে পাটাতনের ওপর পানি ওঠে। তবে আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে পানি বেড়ে সেতুটি তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সকাল ১০টার দিকে সেতুতে উঠতে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতুর পাটাতনের ওপর এখন চার ইঞ্চির মতো পানি রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সেতুতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও নিকটবর্তী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু দিয়ে পারাপার করতে পারবেন।’