ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় ট্রলির পেছনে পিকআপের ধাক্কায় মো. তুহিন বিশ্বাস (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়।

নিহত তুহিন বিশ্বাস ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মো. আফজাল বিশ্বাসের ছেলে।

জানা যায়, বরিশাল থেকে ঝিনাইদহগামী একটি পিকআপ মধুখালীর বোয়ালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রলিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। রাস্তার পাইলিং এর কাজে ব্যবহৃত পেলেসাইকিং বোঝাই ওই ট্রলিটি মহাসড়কে কাজ করা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছিল এবং টায়ার ফেঁটে যাওয়ায় সড়কের পাশে দাঁড় করানো ছিল।

ধাক্কার ফলে পিকআপে থাকা ম্যাটাডোর কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মো.

তুহিন বিশ্বাস ট্রলি ও পিকআপের মধ্যে আটকা পড়ে যান। মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিকআপ ও ট্রলি জব্দ করেছি। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি এবং আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত সড়ক দ র ঘটন উপজ ল প কআপ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ