প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকে কাতর প্রিয়াঙ্কা
Published: 17th, June 2025 GMT
আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই মন খারাপ ছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। এরই মাঝে এসেছে আরেক দুঃসংবাদ। পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রীর পিসেমশাই রমণ হান্দা। যে কারণে প্রিয়জনকে হারিয়ে এখন শোকে কাতর প্রিয়াঙ্কা। বর্তমানে অভিনেত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে পৌঁছে গেছে পিসেমশাইকে হারানোর দুঃসংবাদটি। শোক প্রকাশ করতেও এক মুহূর্ত দেরি করেননি এই বলিউড ডিভা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করে প্রিয় মানুষটিকে উদ্দেশ করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘তুমি সব সময়ে আমাদের মনে থেকে যাবে। এবার শান্তিতে বিশ্রাম নাও রমণ পিসেমশাই। ওম শান্তি।’ এই পোস্টে প্রিয়াঙ্কা তাঁর তুতো বোন অভিনেত্রী মানারা চোপড়া ও পিসি কামিনী চোপড়াকেও ট্যাগ করে দিয়েছেন।
এ খবরের পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, প্রয়াত রমণ হান্দা একই সঙ্গে বলিউড ডিভা প্রিয়াঙ্কার পিসেমশাই এবং ‘বিগবস্ ১৭’-খ্যাত অভিনেত্রী মানারা চোপড়ার বাবা। সোমবার মুম্বাইতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মানারার পরিবারের পক্ষ থেকেই একটি পোস্টের মাধ্যমে রমণ হান্দার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়।
সেই পোস্টে লেখা ছিল, ‘গভীর শোক ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের বাবা পরলোকগমন করেছেন। আমাদের পরিবারের শক্তির স্তম্ভ ছিলেন তিনি।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, বুধবার মুম্বাইতে দুপুর ১টায় রমণ হান্দার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তবে পিসেমশাইয়ের শেষকৃত্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রিয়াঙ্কা মুম্বাইতে আসবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সোমবার বাবার মৃত্যুর খবর জানতে কাঁদতে কাঁদতে মুম্বাই ছোটেন মানারা চোপড়া। বিমানবন্দরে ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় সেই মুহূর্ত ধরা পড়ে। সঙ্গে ছিলেন মানারার বোন মিতালি। তবে মানারার বাবার মৃত্যুতে এখনও শোকপ্রকাশ করেননি মানারার আরেক দিদি অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। তাঁর পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি আসেনি।
প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মানারার সম্পর্ক ভালো হলেও পরিণীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। এমনকি পরিণীতির সঙ্গে তাঁর চেহারায় মিল রয়েছে বলাতেও আপত্তি জানিয়েছিলেন মানারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রমণ হ ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ‘অত্যন্ত উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন ‘যথাযথ অঞ্চলে মোতায়েন’ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওই মন্তব্য় যদি নেহাতই বোকামি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য না হয়ে, তার থেকে বেশি কিছু হয়, তাই আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছি।” খবর বিবিসির।
ট্রাম্প আরো লিখেছেন যে, “শব্দগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাবও অপ্রত্যাশিত হতে পারে। তবে আশা করি এই বিবৃতি তেমন কিছু ঘটাবে না।”
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন সামরিক প্রোটোকল মেনে দুটি সাবমেরিন কোথায় মোতায়েন করা হচ্ছে, তা তিনি বলেননি।
একদিন আগেই ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে মস্কোকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপরই প্রতিক্রিয়া দেন মেদভেদেভ।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান, তার অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের ভিত্তিতে, আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে উপযুক্ত অঞ্চলে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছি।”
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পারমাণবিক চালিত নাকি পারমাণবিক অস্ত্রধারী সাবমেরিনের মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা খোলাসা করেননি।
রাশিয়া এবং আমেরিকার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং উভয় দেশেরই পারমাণবিক সাবমেরিনের বহর রয়েছে।
শুক্রবার পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “একটি হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং আমরা এটিকে উপযুক্ত মনে করিনি। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “আমি মার্কিন জনগণের নিরাপত্তার ভিত্তিতে এটি করেছি। রাশিয়ার একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছিলেন। এবং আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করব।”
ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেনি, তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মস্কোর শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প এবং মেদভেদেভ সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তিগত আক্রমণে জড়িয়ে পড়েছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দুই দফায় নতুন করে সময় বেধে দিয়েছেন, তবে যুদ্ধ থামানোর কোনো লক্ষণ পুতিন এখনও দেখাননি।
মেদভেদেভ- যিনি ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন- এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘রাশিয়ার সঙ্গে আল্টিমেটাম খেলা’ খেলার অভিযোগ করেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মেদভেদেভ বলেছিলেন, “প্রতিটি নতুন আল্টিমেটাম একটি হুমকি এবং যুদ্ধের দিকে একটি পদক্ষেপ।”
এর আগে, তিনি জুলাইয়ের শুরুতে তিনি ট্রাম্পের আল্টিমেটামকে ‘নাটকীয়’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, “রাশিয়া এসবের পরোয়া করে না।”
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) টেলিগ্রামে একটি পোস্টে মেদভেদেভ ট্রাম্পকে রাশিয়ার ‘ডেড হ্যান্ড’ সম্পর্কে সতর্ক করেন। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘ডেড হ্যান্ড’ হলো রাশিয়ার প্রতিশোধমূলক পারমাণবিক হামলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কোডনাম।
এরপরই শুক্রবার ট্রাম্প মেদভেদেভের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি মেদভেদেভকে ‘রাশিয়ার ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট, নিজেকে এখনো প্রেসিডেন্ট বলে ভাবেন’ বলে কটাক্ষ করেন।
ট্রাম্প মেদভেদেভকে ‘তার কথার দিকে নজর রাখার’ বিষয়ে সতর্কও করে বলেন, “তিনি খুব বিপজ্জনক অঞ্চলে প্রবেশ করছেন!”
মেদভেদেভ ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণকে সমর্থন করেন এবং পশ্চিমাদের একজন স্পষ্ট সমালোচক।
ঢাকা/ফিরোজ