মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রদর্শক, গবেষণা সহকারী (কলেজ), ল্যাবরেটরি সহকারী ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদের চূড়ান্ত ফলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে আসা প্রার্থীরা জানান, ২০২০ সালে মাউশির প্রদর্শক, গবেষণা সহকারী (কলেজ), ল্যাবরেটরি সহকারী ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদসহ আরও কয়েকটি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে সব পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শক, গবেষণা সহকারী (কলেজ), ল্যাবরেটরি সহকারী ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার—এ চারটি বাদে অন্য পদগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। কিন্তু এই চার পদে লিখিত ও ভাইভা শেষ হলেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হচ্ছে না।

চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষায় থাকা এক প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানা জটিলতা কাটিয়ে প্রায় আড়াই বছর পরে গত বছরের ২৪ এপ্রিল প্রদর্শক, গবেষণা সহকারী (কলেজ), ল্যাবরেটরি সহকারী ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার বছর শেষ হয়ে পঞ্চম বছর চলছে এবং ভাইভা নেওয়ার এক বছর শেষ হয়েছে। তবুও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমরা মাউশিতে যোগাযোগ করলে জানানো হয়েছিল, কোটাসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হলে তিন কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। কোটাসংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করে মতামত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৭ নভেম্বর মাউশিতে চিঠি দিয়েছে। তবুও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হচ্ছে না।’

অবস্থান কর্মসূচিতে আসা আরেক প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বৃষ্টিতে ভিজে ন্যায্য দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। তাই এই ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছি। আমাদের একটাই দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হোক।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ও সহক র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ