প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা
Published: 19th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রিপন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে তিনি কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পান। পরে জানাজা শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা রিপনের মা নুরুন্নাহার বুধবার ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে ও জানাজায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
পুলিশের ব্রিফিং
নগদের কোটি টাকা লুটের ঘটনায় সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্য জড়িত
আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেন। পরবর্তীতে পুলিশ পাহারায় রিপনকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মধ্যেপাড়া এলাকার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মায়ের জানাজা শেষে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে স্বল্প সময়ের জন্য কথা বলার সুযোগ পান।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম রিপনকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে যথাসময়ে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে তরিকুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা এবং একাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।
ঢাকা/রফিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজউক সার্ভারে ঢুকে নকশা অনুমোদন, গ্রেপ্তার ৩
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইসিপিএস সার্ভার হ্যাক করে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ মে নকশা অনুমোদন-সক্রান্ত ইসিপিএস সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে মাত্র ১৭ মিনিটে একটি ভবনের অনুমোদন পাশের ঘটনাটি নজরে আসে রাজউক কর্তৃপক্ষের।
জলাভূমি ও হাইট রেস্ট্রিকশন থাকা ভূমিতে ১৫ তলাবিশিষ্ট ১৮৫ ইউনিটের এই সুউচ্চ ভবনটির নকশা সব বিধিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাস করিয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে একই উপায়ে আরও তিনটি ভবনের নকশা অনুমোদন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পায়। তৎক্ষণাৎ সার্ভারটি বন্ধ করে মতিঝিল থানায় সেদিনই একটি জিডি করা হয়।
পাস করা নকশার সূত্র ধরে রাবেয়া বারী নামক এক প্রকৌশলীর সন্ধান পায় রাজউক, যার স্বাক্ষর নকশাগুলোতে পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মতিঝিলের নীলনকশা নামের একটি কম্পিউটারের দোকান ও সেখানকার এক কর্মচারী স্বপনের নাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ২২ মে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মতিঝিলের নীলনকশা নামক দোকানটিতে। দোকানটির সঙ্গে অননুমোদিত নকশা অনুমোদনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দোকানটির মালিক এনামুলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে রাজউকের নির্ধারিত ফি পরিশোধের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও দোকানের কয়েকটি কম্পিউটারে ওই অবৈধ ভবনগুলোর নকশা পাওয়া যায়। এতে দোকানের মালিক এনামুল ও কর্মচারী স্বপনের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হয়। মোবাইল কোর্ট চলাকালে তাদের কাউকেই না পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মচারীদের পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়।
রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাঁর নির্দেশনায় ৬ জুন রাজউক বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ধারাসহ দণ্ডবিধির ধারায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় ২১ নম্বর আসামি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘নীলাভ নকশাঘর’ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এজাহারনামীয় ২২ ও ২৩ নম্বর আসামি সজীব ও মুকুলকে পুলিশ মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।