জোকোভিচের ‘২৫’, আলকারাজের ‘হ্যাটট্রিক’ না সিনারের ‘প্রথম’
Published: 30th, June 2025 GMT
‘২৫’—২০২৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকেই সংখ্যাটাকে পাখির চোখ করে গ্র্যান্ড স্লামে খেলতে নামছেন নোভাক জোকোভিচ। আজ থেকে শুরু উইম্বলডনেও সেই ‘২৫’-এ চোখ জোকোভিচের। বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লামে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নারী-পুরুষ মিলিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম একক জয়ের রেকর্ডটা এবার করতে পারবেন জোকোভিচ? শুধু এই প্রশ্নই নয়, অল ইংল্যান্ড ক্লাবে আগামী দুই সপ্তাহে তো উত্তর মিলতে পারে আরও অনেক কিছুরই।আরেকটি সিনার-আলকারাজ ফাইনাল?
ফ্রেঞ্চ ওপেনের মতো সিনার-আলকারাজের আরেকটি মহাকাব্যিক ফাইনাল দেখার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। উইম্বলডনে পুরুষ এককের শীর্ষ দুই বাছাইয়ের ফাইনালের আগে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেমিফাইনাল বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ খেলোয়াড় ও টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই সিনারের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচ। সাতবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচের বাধা পেরোলেই প্রথমবার উইম্বলডনে ফাইনালে উঠবেন ইতালিয়ান তারকা।
আলকারাজের হ্যাটট্রিক?উইম্বলডনে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের হাতছানি কার্লোস আলকারাজের। সর্বশেষ দুই ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন স্প্যানিশ তরুণ তুর্কি। উইম্বলডনে পুরুষ এককে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সর্বশেষ কীর্তি জোকোভিচের। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। ২০২০ সালে করোনায় হয়নি উইম্বলডন।
আলকারাজ চ্যাম্পিয়ন, জোকোভিচ রানার্সআপ—২০২৩ ও ২০২৪ সালে একই ছবি ছিল উইম্বলডনের পুরুষ এককে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইম বলডন আলক র জ র ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ