‘২৫’—২০২৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকেই সংখ্যাটাকে পাখির চোখ করে গ্র্যান্ড স্লামে খেলতে নামছেন নোভাক জোকোভিচ। আজ থেকে শুরু উইম্বলডনেও সেই ‘২৫’-এ চোখ জোকোভিচের। বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লামে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নারী-পুরুষ মিলিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম একক জয়ের রেকর্ডটা এবার করতে পারবেন জোকোভিচ? শুধু এই প্রশ্নই নয়, অল ইংল্যান্ড ক্লাবে আগামী দুই সপ্তাহে তো উত্তর মিলতে পারে আরও অনেক কিছুরই।আরেকটি সিনার-আলকারাজ ফাইনাল?

ফ্রেঞ্চ ওপেনের মতো সিনার-আলকারাজের আরেকটি মহাকাব্যিক ফাইনাল দেখার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। উইম্বলডনে পুরুষ এককের শীর্ষ দুই বাছাইয়ের ফাইনালের আগে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেমিফাইনাল বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ খেলোয়াড় ও টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই সিনারের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচ। সাতবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচের বাধা পেরোলেই প্রথমবার উইম্বলডনে ফাইনালে উঠবেন ইতালিয়ান তারকা।

আলকারাজের হ্যাটট্রিক?

উইম্বলডনে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের হাতছানি কার্লোস আলকারাজের। সর্বশেষ দুই ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন স্প্যানিশ তরুণ তুর্কি। উইম্বলডনে পুরুষ এককে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সর্বশেষ কীর্তি জোকোভিচের। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। ২০২০ সালে করোনায় হয়নি উইম্বলডন।

আলকারাজ চ্যাম্পিয়ন, জোকোভিচ রানার্সআপ—২০২৩ ও ২০২৪ সালে একই ছবি ছিল উইম্বলডনের পুরুষ এককে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইম বলডন আলক র জ র ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা