সুরা ইয়াসিন কোরআন মাজিদের ৩৬তম সুরা, যাকে ‘কোরআনের হৃদয়’ বলা হয়। এর ফজিলত ও তাৎপর্য ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পড়ে, তার জন্য এমন সওয়াব রয়েছে, যেন সে দশবার কোরআন পড়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৮৭)
আরও পড়ুনইয়া জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪সুরা ইয়াসিনের ফজিলতসুরা ইয়াসিনের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বহু বর্ণনা রয়েছে। নবীজি (সা.
ইমাম ইবনে কাসির তাঁর তাফসির ইবনে কাসির-এ বলেন, সুরা ইয়াসিন তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের বিষয়ে গভীর বার্তা বহন করে, যা মুমিনের ইমানকে দৃঢ় করে।(তাফসির ইবনে কাসির, ৬/৫৬২, দারুস সালাম, ২০০০)
যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পড়ে, তার জন্য এমন সওয়াব রয়েছে, যেন সে দশবার কোরআন পড়েছে।সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৮৭)আরও পড়ুনসুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত০৭ মার্চ ২০২৫পড়ার নিয়মসুরা ইয়াসিন পড়ার কিছু প্রচলিত নিয়ম ও সময় রয়েছে:
সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়মিত পড়া উত্তম। অনেকে ফজর বা মাগরিবের পর পড়েন। মৃত ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন পড়ার প্রচলন রয়েছে।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মৃত ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন পড়ো, এটি তার জন্য (মৃত্যুর যন্ত্রণা) সহজ করে দেয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১,৪৪৮)
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা ইয়াসিন পড়ে, সে সকালে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় জাগ্রত হয়।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২,৮৮৯)
আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনের সুগভীর মরতবা১৮ ডিসেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম