জমিতে ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে বাবা-ছেলের মৃত্যু
Published: 2nd, July 2025 GMT
ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন– শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কদ্দিপাঁচগাঁও গ্রামের তপদার বাড়ির আব্দুর রব তপদার ও তার ছেলে সায়েম তপদার। আব্দুর রব তপদার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে মৃত সায়েম হোসেন শাহতলী কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয় মেহেদী হাসান নিরব জানান, বাড়ির কাছে রেললাইনের পাশের জমিতে পাট জাগ দিতে যান আব্দুর রব। পাশের আকতার তপদারের দোকানে নেওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জমিতে পড়ে ছিল। একপর্যায়ে সেই ছেঁড়া তারে আব্দুর রব তপদার জড়িয়ে কাতরাতে থাকলে একটি মেয়ে তার ছেলে সায়েমকে বলে। পরে দূর থেকে বাবার এমন অবস্থা দেখে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আব্দুর রব তপদারের শ্যালক শাহ আলম বলেন, ‘আমার বোনের জামাই ও ভাগিনা পাট জাগ দিতে গিয়ে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে পড়ে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।’
চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। পুলিশকে না জানিয়েই হাসপাতাল থেকে লাশ দুটি বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনরা। সেখানে প্রাথমিক তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পেলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করতে পারবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র-জনতার ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ সাবেক মেয়রের, পুলিশে সোপর্দ
যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ঘেরাও করেন ছাত্র-জনতা। পরে থানা ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে গিয়ে একটি ডোবাতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা ধরে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রফিকুল ইসলাম তার ভবানীপুর মোড়লপাড়ার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার দুপুরের দিকে তার বাড়িটি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘিরে ফেলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন রফিকুল। পুলিশ জানতে পেরে রফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে কেশবপুরে ত্রাস সৃষ্টি করতেন জামাল বাহিনী। সেই জামাল বাহিনীর পরিচালনা করতেন সাবেক মেয়র রফিকুল। একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।