ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ যখন ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালাচ্ছিল, ঠিক সে সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে এ বিষয়ে তথ্য দিচ্ছিলেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। ওই সময় এই ভিডিও ভাইরাল হয়। তখন তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।

জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপপুলিশ কমিশনার বর্তমানে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এটি সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের শামিল।

তাই বিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন যেদিন থেকে অনুপস্থিত, সেই তারিখ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন।

ছাত্র আন্দোলনের সময় ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যায়, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল হোসাইন বলছেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। তাঁদের সামনে ইকবাল হোসাইন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মুঠোফোনে ভিডিও দেখাচ্ছেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন এমন প্রায় ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে এ পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মুদি দোকানি গ্রেপ্তার

পাবনার চাটমোহরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় শাহীন আলম নামের এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরের বাসন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে শাহীনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’’ গ্রেপ্তার শাহীন উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড় শালিখা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে ও স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় আরেক মামলা দায়ের

দেবীগঞ্জে ধানখেত থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শাহীনের দোকানে বিস্কুট কিনতে যায় যায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রী। এ সময় দোকানের পাশের একটি বাড়িতে কাঁঠাল দেখানোর কথা বলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন শাহীন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন শাহীন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ