বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর আইন প্রয়োগ ও সামাজিক পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ
Published: 24th, July 2025 GMT
দেশজুড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়নে সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত ও সমাধানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পলিসি ডায়ালগ’ আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল শেরাটন, বনানীতে আয়োজন করা হয়। বেসরকারি সংস্থা পপি ও বিডিওএসএন-এর যৌথ উদ্যোগে মালালা ফান্ডের সহায়তায় এ ডায়ালগের আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ, উন্নয়নকর্মী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ডায়ালগের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সংলাপের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুলে নিহত শিশুদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সংলাপে স্বাগত বক্তব্যে পপির নির্বাহী পরিচালক মুর্শেদ আলম সরকার বলেন, ‘আমরা যত উন্নয়ন কার্যক্রমই পরিচালনা করি না কেন, যদি বাল্যবিবাহ রোধ করতে না পারি, তবে সেই উন্নয়ন টেকসই হবে না, বরং বারবার বাধাগ্রস্ত হবে।’
এরপর পপির উপপরিচালক সিনা চৌধুরী, মাঠপর্যায়ের ওয়ার্কশপ থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও তথ্য-উপাত্ত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিশ্লেষণী ফলাফল উপস্থাপন করেন।
সংলাপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্যানেল ডিসকাশন। বিডিওএসএন-এর সভাপতি মুনির হাসানের সঞ্চালনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, ঢাকা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো.
প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেন, শুধু সরকারের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি না পাল্টালে আইন প্রয়োগ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর ধারা ১৯ সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি জানান, ‘আমরা “কুইক রেসপন্স টিম” গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে প্রায় ৬ হাজার ২০০টি টিম গঠন করা হবে, যারা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে কাজ করবে।’
‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পলিসি ডায়ালগ’–এ অতিথিরাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন। এরপর বাংলাদেশ আর টেস্ট খেলেনি। মাঝে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাজমুল, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে রাজি হয়েছেন তিনি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রের শেষ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল।
২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান নাজমুল। এখন পর্যন্ত তিনি ১৪টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওদেরই মাঠে দুটি টেস্ট জিতেছে। সব মিলিয়ে নাজমুলের নেতৃত্বে ৪ টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে ১টি, হেরেছে ৯টি।
গত বছর তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে সময় ভালো না যাওয়ায় এ বছরের শুরুতে সেই সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে নিজেই সরে যান। এরপর গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে হুট করেই নাজমুলকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে নাজমুল টেস্ট সংস্করণের অধিনায়কত্বও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন