স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না: আসিফ মাহমুদ
Published: 24th, July 2025 GMT
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উত্থাপিত এ-সংক্রান্ত চারটি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।
বেলা পৌনে একটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
এর আগে এ-সংক্রান্ত চারটি আলাদা অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে ১ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরপর উপদেষ্টা পরিষদ হয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সম্মতি নিয়ে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করার কথা। আজ উপদেষ্টা পরিষদ সেই খসড়া অনুমোদন করল।
নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক দলগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে না। প্রার্থীরা সবাই হবেন নির্দলীয়, যা এখন স্বতন্ত্র নামে পরিচিত।
২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। অন্তর্বর্তী সরকারের করা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা এই বিধান বাদ দিলে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন, এমন অনেক যোগ্য ব্যক্তিও নির্বাচনে আগ্রহী হবেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে রাজনীতিতে আলোচনা আছে। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিরোধিতা করে এলেও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কিছু দল আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করছে। এর মধ্যেই স্থানীয় সরকারকাঠামোর চারটি আইনের দলীয় প্রতীকের ধারা বাতিল করছে সরকার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।