সামিউনের ব্যাটে ১ উইকেটের নাটকীয় জয় বাংলাদেশের
Published: 26th, July 2025 GMT
সামিউন বশির যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। হারারেতে আজ ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের যুবারা ষষ্ঠ উইকেট হারাল ৫৯ রানে। সামিউনকে রেখে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মাত্র ১২৮ রান করেও প্রোটিয়া যুবারা তখন নিশ্চিতভাবেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। তবে সেই দক্ষিণ আফ্রিকানদের সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব -১৯ দলকে ১ উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দিলেন সামিউন।
আবদুল্লাহর বিদায়ের আল ফাহাদকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৩১ রান যোগ করেন সামিউন। এরপর ৯০ ও ৯৭ রানে ফাহাদ ও দেবাশিস দেবার বিদায়ে আবার বিপদে বাংলাদেশের যুবারা। এরপর নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইকবাল হোসেন যখন ফিরলেন বাংলাদেশের দলটির স্কোর ২৭ ওভারে ১০৯/৯। সেখান থেকেই পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন সামিউন। শেষ ব্যাটসম্যান স্বাধীন ইসলামকে একটি বলও খেলার সুযোগ না দিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন সামিউন।
২৮তম ওভারে পল জেমসকে দুটি চার মেরে ব্যবধানটাকে ১১ রানে নামিয়ে আনেন সামিউল। দয়ালান বয়েসের করা ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মিডউইকেট দিয়ে চার ও ছক্কা মেরে স্কোর সমান করে দেন সামিউন। পরের বলটাকে কাভারের দিকে ঠেলেই ১ রান নিয়ে স্বাধীনকে নিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতেন সামিউন।
৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার আল ফাহাদ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।