ঢাকায় রাতভর ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি, হতে পারে আজও
Published: 28th, July 2025 GMT
রাজধানী ঢাকায় গতকাল রোববার রাতে অনেকটা বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অন্তত ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ ঢাকায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে এই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো.
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বার্তা অনুযায়ী, আজ খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এসব বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও আছে। আজ ঢাকা বিভাগের অনেক স্থানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আজ রাজধানীতে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশে বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন স্থানে।
বাংলার বর্ষা ঋতুর দ্বিতীয় মাস শ্রাবণের মাঝামাঝি সময় এখন। চলতি জুলাই মাসটা আষাঢ় ও শ্রাবণ মিলেই পড়ে। আর এ মাসে বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। আবার অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ যা, তাতে এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হবে। তবে রংপুর এবং সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ খানিকটা কম বৃষ্টি হয়েছে।
চলতি মাসে থেমে থেমে অনেক জায়গায় অনেকটা বৃষ্টি হলেও গরমের ভাবটা কিন্তু কমেনি। বৃষ্টির পরে ভ্যাপসা গরম আর তাতে মানুষের কষ্ট বাড়ছে। এ সময় বৃষ্টি হলেও জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকায় গরম বা ভ্যাপসা ভাবটা থেকে যায় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।