রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যেসব শিক্ষার্থী মানসিক ট্রমায় ভুগছে, তাদের কাউন্সেলিং সেন্টারে নিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। উদ্দেশ্য, এই শিক্ষার্থীদের মানসিক ট্রমা থেকে বের করে আনা। পড়ালেখায় মনোযোগী করা। আবার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা কাছ থেকে দেখা অভিভাবকেরা কাউন্সেলিং নিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত ২১ জুলাই এই ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার রাত ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তথ্য বলছে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৫ জন ভর্তি ছিলেন।

ভয়াবহ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাইলস্টোনের এই ক্যাম্পাসে পৃথক তিনটি ভবনে কাউন্সেলিং দেওয়া হচ্ছে। বিমানবাহিনী ও ব্র্যাকের মনোরোগবিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই সেবা দিচ্ছেন। ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী স্থাপিত অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবার কার্যক্রমও চলছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবস্মিতা রায়কে নিয়ে কাউন্সেলিং সেন্টারে এসেছিলেন বাবা মনোজ রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের দিন তাঁর মেয়ে ক্যাম্পাসে ছিল। চোখের সামনেই মর্মান্তিক এই ঘটনা দেখে সে ট্রমায় ভুগছে। এখন মেঘের গর্জন শুনলেও ভীষণ ভয় পাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁকে স্বাভাবিক করতে কাউন্সেলিং সেন্টারে নিয়ে এসেছেন।

কাউন্সেলিং নেওয়ার পর দেবস্মিতা রায় জানায়, ভয় না পেতে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘ডিপ ব্রেদিং’-এর একটি ব্যায়াম শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনমাইলস্টোনে বিমানবাহিনীর চিকিৎসা ক্যাম্প, সেবা নিতে আসছেন অনেকে২৮ জুলাই ২০২৫যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের জায়গাটি দেখতে এসেছেন অনেকে। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে। ২৯ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ম নব হ ন ম ইলস ট ন ক উন স ল র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ