ছোট ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ
Published: 3rd, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছোট ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ভাসুর রবিউল হাসান আবির (৩৫)। রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সকালে কুশিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম নাদিয়া আক্তার লীনা (২৫)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কানুরামপুর এলাকার শাহজাহান দেওয়ানের মেয়ে ও কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
রবিউল হাসান কুশিয়ারা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
সিংড়ার ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ বন্ধু গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘রবিউল হাসান থানায় এসে হত্যার দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’’
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি ব্যবসার জন্য রবিউলের মা ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ছোট ছেলে রবিউল ও ছেলের বউ নাদিয়ার হাতে তুলে দেন। কিন্তু, রাসেল সেই টাকা দিয়ে বিদেশে চলে যান। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জিম্মাদার রবিউল হাসান আবিরকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নাদিয়া আক্তার লীনার সঙ্গে রবিউল হাসান আবিরের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরেই নাদিয়া আক্তার লীনাকে হত্যা করেন রবিউল।
ঢাকা/অনিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক