নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছোট ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ভাসুর রবিউল হাসান আবির (৩৫)। রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, সকালে কুশিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম নাদিয়া আক্তার লীনা (২৫)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কানুরামপুর এলাকার শাহজাহান দেওয়ানের মেয়ে ও কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল মিয়ার স্ত্রী।

রবিউল হাসান কুশিয়ারা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

সিংড়ার ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ বন্ধু গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ

ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘রবিউল হাসান থানায় এসে হত্যার দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’’

স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি ব্যবসার জন্য রবিউলের মা ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ছোট ছেলে রবিউল ও ছেলের বউ নাদিয়ার হাতে তুলে দেন। কিন্তু, রাসেল সেই টাকা দিয়ে বিদেশে চলে যান। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জিম্মাদার রবিউল হাসান আবিরকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নাদিয়া আক্তার লীনার সঙ্গে রবিউল হাসান আবিরের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরেই নাদিয়া আক্তার লীনাকে হত্যা করেন রবিউল।

ঢাকা/অনিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য হত য র

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ, পরে ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

পটুয়াখালীর বাউফলে সালমা আক্তার (৩২) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী সরোয়ার হোসেনের (৩৮) বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দুইটার দিকে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন সরোয়ার। এ সময় তাঁর সঙ্গে চার বছরের শিশুসন্তান ছিল।

সালমা আক্তার বাউফল উপজেলার নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাবার বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে। সরোয়ার একই উপজেলার নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ১২ বছর আগে তাঁদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল।

পুলিশ, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও মাদ্রাসার সূত্রে জানা গেছে, চাকরির সুবাদে চার বছর আগে বাউফলে আসেন সালমা ও তাঁর স্বামী সরোয়ার। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তাঁরা উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

সরোয়ারের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে গতকাল বিকেলে সালমা ও সরোয়ারের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বিকেল সোয়া চারটার দিকে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সালমার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে লাশটি ঘরের ভেতর রেখে দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশুসন্তানটিকে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। একপর্যায়ে গতকাল গভীর রাতে সন্তানসহ বাউফল থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, বিবেকের তাড়নায় তিনি আত্মসমর্পণ করতে হাজির হয়েছেন।

বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, সরোয়ার থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সালমার মরদেহ উদ্ধার করেছে। শিশুটিকেও পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আজ শুক্রবার সকালে জানান বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ
  • বাউফলে স্ত্রীকে হত্যার পর গভীর রাতে থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ
  • স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
  • গভীর রাতে থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ, পরে ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার