ট্রাম্প প্রশাসন শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পের আওতায় ভ্রমণকারী এবং গণমাধ্যমের সদস্যদের জন্য ভিসার মেয়াদ কঠোর করতে যাচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক কঠোর ব্যবস্থার অংশ বলে বুধবার জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যাপক অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। সর্বশেষ পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক ছাত্র, বিনিময় কর্মী এবং বিদেশী সাংবাদিকদের জন্য নতুন বাধা তৈরি করবে। কারণ এদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে। 

প্রস্তাবিত নিয়মটি আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য F ক্যাটাগরির ভিসার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করবে। সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচিতে ভ্রমণকারীদের  জন্য J ক্যাটাগরি এবং মিডিয়ার সদস্যদের জন্য I ক্যাটাগরির ভিসা তাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি দেয়। এই ভিসাগুলো বর্তমানে প্রোগ্রামের সময়কাল বা মার্কিনভিত্তিক কর্মসংস্থানের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন প্রস্তাবিত নিয়মাবলীতে বলা হয়েছে, ভিসাধারীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় আরো ভালভাবে ‘তদারকি’র জন্য এই পরিবর্তন প্রয়োজন।

বিশ্বব্যাপী ৪ হাজার ৩০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিদদের প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নাফসা ট্রাম্প প্রশাসনকে এটি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসন আইনি অভিবাসনের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য তাদের ছাত্র ভিসা এবং গ্রিন কার্ড বাতিল করেছে এবং লাখ লাখ অভিবাসীর আইনি মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র দ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫