ভ্যালেন্টিনা গোমেজ কর্তৃক পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 29th, August 2025 GMT
রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল প্রার্থী ‘ভ্যালেন্টিনা গোমেজ’ কর্তৃক পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৯ আস্ট) বাদজুম্মা আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তাহরীকে খতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাওবান সাকিবের সঞ্চালনায় আল্লামা মুফতি ড.
সভাপতি বক্ত্যবে ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ নামে এক কুলাঙ্গার কোরআনুল কারীমের মধ্যে অগ্নিসংযোগ করেছে অত্যন্ত দুঃখজনক মেনে নেবার মত নয় ।
তিনি আরো বলেন,আমরাও মুসলমান পারি হাজার হাজার বাইবেল এক জাগায় স্তুপ করে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে। আমাদের সুমহান ইসলাম এ আদর্শ আমাদের শিখায়নি নতুবা এটা তো ওয়ান টুর ব্যাপার আমাদের কাছে কয়েক হাজার বাইবেল এক জায়গায় এনে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে পারি ।
কিন্তু ইসলাম আমাদেরকে আদর্শ শিখায়নি অত্যন্ত নিকৃষ্ট আমেরিকার বৈদেশিক নীতি কথিত গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার রক্ষায় সে সচেষ্ট। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মানবাধিকার কমিশন একটা প্রতিষ্ঠিত করেছে।
কিন্তু সে তো তার দেশকেই সামলাতে পারছে না। যেখানে লক্ষ লক্ষ মুসলমান বসবাস করছে সেই আমেরিকাতে কোরআনুল কারীমে প্রকাশ্যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন সরকার যে আটকাতে পারে নাই।
এটাই প্রমাণ করে মানবতার পক্ষে গণতন্ত্রের পক্ষে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে যে বুলিগুলো আমেরিকা আওড়ায় এসব নিছক ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ কোরআন আল্লাহ তার আখেরি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে দেড় হাজার বছর আগে এই কোরআন কারীম অবতীর্ণ করেছেন গোটা বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্যে।
আল্লাহ বলেছেন পৃথিবীর যেকন সময়ের যেকন ধর্মের যেকন গোত্রের যেকন মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহতালা দেড় হাজার বছর আগে কোরআন কারীমকে নাযিল করেছেন সে কোরআনকে মুসলমান জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে কোরআন কারীমে অগ্নি সংযোগ করেনি সেই গুনার উগ্র উগ্রবাদী খ্রিস্টান ভ্যালেন্টিনা গোমে মুসলমানদের কলিজায় আগুন জ্বালিয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম সলম ন আম দ র ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মার চরে জোড়া খুনের ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
পদ্মার চরে দুজনকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার নিহতের বাবা-মাসহ স্বজনেরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সেখানে অঝোরে কেঁদেছেন। এ সময় অন্যরাও চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর বাজারে ‘হতাহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী’র ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। আমান মণ্ডল ও নাজমুল মণ্ডলকে গুলি করে হত্যাসহ মুনতাজ মণ্ডল ও রাকিব হোসেনকে আহত করার প্রতিবাদ এবং দোষীদের বিচার দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনের ব্যানারের এক পাশে নিহত-আহত ব্যক্তিদের ছবি, আরেক পাশে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনের ছবি সাঁটিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনদুজনকে হত্যার ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ কাকনকে প্রধান আসামি করে মামলা২৯ অক্টোবর ২০২৫বাঘা উপজেলার নিচ খানপুর গ্রামের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনাজ মণ্ডল জানান, দিনদুপুরে গুলি করে তাঁর ছেলেসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা করার পরও আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের স্বজনেরাও ঘুরে বেড়াচ্ছে বুক ফুলিয়ে। প্রশাসনকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেনের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পার হলেও মূল আসামিদের ধরতে না পারা রহস্যজনক। খানপুর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ মণ্ডল বলেন, হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করলে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা যাবে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার আরেক যুবক নাজমুলের বাবা শুকুর মণ্ডল মানববন্ধনে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আর কিছু বলতে পারেননি। তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।
গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজশাহীর বাঘা ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ১৪ হাজার মাঠ নামে পরিচিত চাকলার চর এলাকায় কাশবনখেত নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন আমান মণ্ডল, নাজমুল মণ্ডল (২৬), মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাকিব হোসেন (১৮)। এর মধ্যে আমান ও নাজমুল মারা যান। অপর দুজন রামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মুনতাজ মণ্ডলের পিতা চান মণ্ডল বলেন, নদীভাঙনের শিকার হয়ে তাঁরা বর্তমানে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপুর গ্রামে বসবাস করছেন। চাকলার চর এলাকায় তাঁদের পৈতৃক জমি রয়েছে। সেই জমিতে তাঁরা কাশবনের খড় কাটছিলেন। কথিত ‘কাকন বাহিনী’র লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেই জমি দখলে নিতে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
এ ঘটনায় বাহিনীর প্রধান দৌলতপুর থানার মাঝদিয়াড় বৈরাগী চরের হাসানুজ্জামান ওরফে কাকন ইঞ্জিনিয়ারকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০–৩০ জনকে আসামি করে মিনাজ মণ্ডল দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পরবর্তী সময় পুলিশ শটগানের কার্তুজের ৫৫টি খালি খোসা ও ১৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
এদিকে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর অনুমান ১২টার সময় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা এলাকার পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় লিটন ঘোষ (৩০) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। লিটন ঘোষ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার রায়টা ঘোষপাড়া গ্রামের জামরুল ঘোষের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ পুলিশ ক্যাম্পের (ইনচার্জ) এসআই শফিউদ্দিন বলেন, তাঁর শরীরে অসংখ্য জখমের চিহ্ন ছিল। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে লিটনও নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, দৌলতপুর-বাঘা সীমান্তে চর দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুনকথার আগে গুলি চালায় ‘কাকন বাহিনী’, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল১১ ঘণ্টা আগে