দুই মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৫
Published: 29th, August 2025 GMT
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার সারীঘাট (সরূফৌদ) এলাকায় দুইটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছে দ্রুত গতির একটি বাস। এ ঘটনায় তালহা (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচজন।
তামাবিল হইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে হতাহত ২৪ পরিবারকে কোটি টাকার সহায়তা দিল বিআরটিএ
লালমনিরহাটে ড্রাম ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত তালহা জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কাঞ্জরগ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন- সারীঘাট ডৌডিক গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে শাকিল (২০), একই গ্রামের মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে জুনেদ আহমদ (১৮), মনির আলীর ছেলে শাহরিয়ার (২০), আরফান আলীর ছেলে ইব্রাহীম আহমদ (২২) এবং উপজেলার গুজ্ছগ্রামের জিয়া উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ আলী (১৫)।
এলাকাবাসী জানান, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সারীঘাট (সরুফৌদ) নামকস্থানে জাফলং থেকে সিলেটগামী একটি বাস দরবস্ত থেকে জৈন্তাপুরগামী দুইটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের এক আরোহী মারা যান। আহত হন পাঁচজন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে যায়।
তামাবিল হইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের একটি নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনা কবলিত দুইটি মোটরসাইকেল থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক বাস আটকের চেষ্টা চলছে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/নূর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত দ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।