আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ২০ জনের মৃত্যু, আরো প্রাণহানির শঙ্কা
Published: 1st, September 2025 GMT
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় ১৯:১৭) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর অন্তত তিনটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২ এর মধ্যে।
আরো পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে খালে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
গাজীপুরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আহত কমপক্ষে ১১৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এএফপি জানায়, ভূমিকম্পের কম্পন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও কয়েক সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়।
প্রশাসনের আশঙ্কা, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বাড়িঘরগুলো ভূমিকম্প সহনশীল না হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়
বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা
শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।
কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।
রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।
চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।
ঢাকা/ফিরোজ