একবার হলেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় জামায়াত
Published: 17th, September 2025 GMT
কমপক্ষে একবারের জন্য হলেও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
আরো পড়ুন:
মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন
জামায়াতের অভিন্ন কর্মসূচি দিল ইসলামী আন্দোলন
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আমাদের সঙ্গে তাদের খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের যে অবস্থা সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ব্যাপারে কথা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা? কিভাবে হবে? এসব বিষয় তারা মূলত কথা বলেছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা উচ্চ এবং নিম্ন উভয় কক্ষে পিআর চাচ্ছি। আর আলোচনার টেবিলে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আমরা আলোচনার টেবিলে যাওয়ার পক্ষে এবং আলোচনা করারও পক্ষে। তবে এর জন্য উদার মানসিকতা এবং নিরপেক্ষতা মানসিকতার প্রয়োজন।”
“আমরা নির্বাচনে যাব না এটা আমরা বলিনি। আমরা মনে করি পিআর পদ্ধতিটাই উত্তম এবং সে দাবি করছি। আমরা যুক্তি দিচ্ছি, আমরা বুঝানোর চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, আমাদের যুক্তি মানবে এবং সে ভিত্তিতেই আমরা নির্বাচনে যাবো”, যোগ করেন জামায়াতের এই নেতা।
তিনি আরো বলেন, “আমরা তাদের বলেছি, পিআর সিস্টেম যদি হয়, সেখানে এককভাবে কোনো প্রার্থী থাকবে না কোনো এলাকায় এবং সে কেন্দ্র দখলের ইন্ট্রেস্ট হারিয়ে ফেলবে টাকা দিয়ে। এজন্য আমরা কমপক্ষে একটি বার পরীক্ষামূলকভাবে পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চাই। যদি এটা ভালো না হয় তবে নেক্সট টাইমে আমরা এটা চেঞ্জ করি। এজন্য আমরা পিআর চাচ্ছি উভয় কক্ষে। অধিকাংশ লোক পিআরের পক্ষে। তারাও বলেছেন, তাদের অধিকাংশ দেশেই তো পিআর সিস্টেম। আমাদের কথা তারা সহজেই বুঝছে”, বলেন তিনি।
তাহের বলেন, “বাংলাদেশে ৫৪ বছর পরে একটা পরিবর্তনের বিশেষ অপর্চুনিটি এখানে আসছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য সকলেই আন্তরিক এবং সচেতন। এই সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা একটা সংস্কার করবে, বিচার দৃশ্যমান করবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; যেটাকে আমরা ফ্রি, ফেয়ার একটি ইলেকশন বলে মনে করি।”
জামায়াতের নায়েবে আমির আরো বলেন, “আপনারা জানেন সরকার একটি এনসিসি করেছিল। সেখানে আমরা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছি। এসব বিষয়ে বাংলাদেশে একটি ব্যাপক ডেভেলপমেন্ট হয়েছে এবং দলগুলোর মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন একটা সমস্যা হলো- আমরা যেসব বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করতে পেরেছি সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে- এটা নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। আপনারা জানেন, আমরা ৩১টি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলাম। এর মধ্যে ২৬টি দল পিআর-এর পক্ষে ছিল যার মধ্যে ইসলামিস্ট, রাইটিস্ট এবং লেফটিস্ট দলসমূহ আছে। কিন্তু সেখানে একটি পার্থক্য ছিল এই- কোনো কোনো দল উচ্চ কক্ষে পিআর চাচ্ছে আর কিছু দল উচ্চ ও নিম্ন দুইটিতে পিআর চাচ্ছে। এর মধ্যে আমরা জামায়াতে ইসলামী উভয় কক্ষে পিআর চাচ্ছি। এ চাওয়ার পেছনে আমাদের দুটি যুক্তি হলো- বিগত ৫৪ বছরে ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।” আর বিগত ১৫ বছরে ৩টি নির্বাচনের কথা তো উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও জানান এই নেতা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প আর চ চ ছ আম দ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা
বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের উৎপাদন শাখায় কিচেন ও বেকারি ইউনিটে ইন্টার্নশিপে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সম্মানী প্রদান করা হবে। শুধু ছয় মাসের জন্য করা যাবে ইন্টার্নশিপ।
কিচেন হেলপার পদে ইন্টার্ন—
বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।
যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।
২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা হতে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি ফুড অ্যান্ড বেভারেজে কুকিং কোর্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।
বেকার হেলপার পদে ইন্টার্ন—
বয়স: সর্বোচ্চ-৩২ বছর।
যোগ্যতা: ১. কমপক্ষে এসএসসি পাস।
২.City & Guilds, UK/NHTTI অথবা সরকার অনুমোদিত সংস্থা থেকে কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রিতে সার্টিফিকেট কোর্স থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেল, বিএফসিসি বা সমমানের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানে বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রির ওপর ন্যূনতম ছয় সপ্তাহের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট সম্পন্ন থাকতে হবে।
যোগ্যতা—১. প্রত্যেক প্রার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পাস অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।
২. চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ইন্টার্নকে বিএফসিসিতে ভর্তির সময় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট বাধ্যতামূলকভাবে সঙ্গে আনতে হবে।
৩. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে ভর্তির আগে বিমান মেডিকেল থেকে শারীরিক ফিটনেস সংগ্রহ করতে হবে।
সুযোগ-সুবিধা—
১. শুধু ছয় মাসের জন্য ইন্টার্ন হিসেবে ভর্তি করা হবে।
২. প্রত্যেক নির্বাচিত ইন্টার্নকে দৈনিক হাজিরা সাপেক্ষে ছয় শ টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হবে। নির্ধারিত সম্মানী ব্যতীত অন্য কোনো ভাতা দেওয়া হবে না।
৩. রোস্টার মোতাবেক দৈনিক আট ঘণ্টা ডিউটি সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে