‘আমার লোক, তোমার লোক’ ব্যাধি থেকে দলগুলোকে বের হতে হবে: আসিফ নজরুল
Published: 1st, November 2025 GMT
সাম্প্রতিককালে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বদলি নিয়ে বড় দুই দল থেকে টেলিফোনে কল পাওয়ার দাবি করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রশাসনে এমন প্রবণতা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমার লোক, তোমার লোক– কালচার থেকে বিএনপি, জামায়াতকে বের হয়ে আসতে হবে। এনসিপি এবং ছোট দলগুলোকেও বের হয়ে আসতে হবে। ছোট দলগুলো বা উদীয়মান দলগুলো এ ব্যাধি থেকে মুক্ত না। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ধরনের সংস্কৃতি থেকে থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে আজ শনিবার ‘বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দলগ ল ক
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া এক কিশোর ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে।
নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করে শিহাব।
অভিভাবকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শিহাব তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। আজ শনিবার সকালে সে মারা যায়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাত আটটার দিকে তাকে মারধর করা হয়। মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিহাব ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে পৌঁছালে প্রেমিকার আত্মীয়স্বজনেরা তাকে তাড়া করে। আত্মরক্ষায় শিহাব রাতের অন্ধকারে মাঠের দিকে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে সে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এ সময় কয়েকজন পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করেন। পরে তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর হামলাকারীরা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা শিহাবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ২৪ অক্টোবর রাতে শিহাবের বাবা রিপন গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দিন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিমকে (৩২) আসামি করা হয়। পাশাপাশি আরও আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আসামিদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।