পুরান ঢাকার বাহ্যিক রূপ সময়ের সঙ্গে বদলে গেলেও তার ভেতরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এখনো বহমান। সেই ঐতিহ্য ও পরিবর্তনের মিশেল নিয়েই আসছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘মহল্লা’।
বিদ্যুৎ রায়ের রচনায় এবং ফরিদুল হাসানের পরিচালনায় নির্মিত এই দীর্ঘ ধারাবাহিকটি আজ ১ নভেম্বর থেকে বৈশাখী টেলিভিশনে শুরু হচ্ছে। প্রচার হবে প্রতি শনিবার, রোববার ও সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে।
আরো পড়ুন:
বাবা হওয়ার কোনো বয়স আছে? সত্তরে কেলসির চমক
সিনেমাটির ভরাডুবি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে: অনুপমা
নাটকটি নিয়ে পরিচালক ফরিদুল হাসান বলেন, “এটি মূলত এক মহল্লার ভালো-মন্দের গল্প। ব্যস্ত নগর জীবনের ভেতরেও মহল্লা নামের এক ছোট্ট সমাজে প্রতিদিন নানা ঘটনা ঘটে—সেই হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা ও ভুল বোঝাবুঝির গল্পই আমরা পর্দায় তুলে ধরেছি হাস্যরসের ছলে।”
ধারাবাহিকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন যাহের আলভী, ইফফাত আরা তিথি, আবদুল্লাহ রানা, রকি খান, মাসুদ মহিউদ্দিন, রেশমি আহমেদ, সহীদ উন নবী, তন্ময় সোহেল, সিয়াম মৃধা, সিয়াম নাসির, আশরাফুল আলম সোহাগ, তানভীর রাহী, ইফতি, সাবা সুস্মিতা, অনন্যা ইসলাম, ইমরান হোসেন আজান, ওয়াহিদ ইকবাল মার্শাল, সাইকা আহমেদ, পলিন, উপমা আহমেদ, আঞ্জুমান মেহেজাবিন, জাবেদ গাজী, আয়েশা নাফিসা ও অনুভব মাহবুবসহ অনেকে।
গল্পের প্রয়োজনে নাটকে রয়েছে একটি আইটেম গান ‘তানপুরা’। গানটি গেয়েছেন ও সুর-সংগীত করেছেন মুহিন। গানের কথা লিখেছেন বিদ্যুৎ রায়। কোরিওগ্রাফি করেছেন মাইকেল বাবু, আর গানটিতে পারফর্ম করেছেন চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন মহল ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’