সিলেটে বাস ও প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত
Published: 1st, November 2025 GMT
সিলেটে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেট কারের চালক ও তাঁর মেয়ে নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগরের দয়ামীর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন সিলেটের ওসমানীনগরের মজিদপুর এলাকার হারুন মিয়া (৩৫) ও তাঁর মেয়ে আনিছা বেগম (১০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের দয়ামীর এলাকায় সিলেটগামী প্রাইভেট কারের সঙ্গে হবিগঞ্জগামী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারের চালক হারুন মিয়া নিহত হন। প্রাইভেট কারে থাকা আরও চার যাত্রী আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু আনিছা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেটের শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ সরকার সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া এক কিশোর ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে।
নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করে শিহাব।
অভিভাবকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শিহাব তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। আজ শনিবার সকালে সে মারা যায়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাত আটটার দিকে তাকে মারধর করা হয়। মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিহাব ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে পৌঁছালে প্রেমিকার আত্মীয়স্বজনেরা তাকে তাড়া করে। আত্মরক্ষায় শিহাব রাতের অন্ধকারে মাঠের দিকে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে সে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এ সময় কয়েকজন পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করেন। পরে তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর হামলাকারীরা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা শিহাবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ২৪ অক্টোবর রাতে শিহাবের বাবা রিপন গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দিন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিমকে (৩২) আসামি করা হয়। পাশাপাশি আরও আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আসামিদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।