ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘‘চোর যেন আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতা না পায়, সেজন্য পাহারা দিতে হবে।’’ 

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ইসলামফোবিয়া দূর করতে জার্মানির মুসলিমরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন

সংবর্ধনা দিয়ে ৩৭ বছরের ইমামকে বিদায় 

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘‘দেশে ইতোমধ্যে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে এবং আমরা আশা করি, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।’’ 

ড.

খালিদ হোসেন জোর দিয়ে বলেন, ‘‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি। কোনো কারণে এই ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হলে দেশের অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এ কারণেই সরকার যথাসময়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আয়োজন করেছে।’’ 

দেশের স্থিতিশীলতা ভঙ্গের চেষ্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেশে অস্থিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আন্দোলন করতে পারে। এ সব যত ইস্যুই তৈরি করুন না কেন, আমরা নির্বাচন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত।’’

মডেল মসজিদের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘‘দেশে প্রায় ৩৫০ মডেল মসজিদ নির্মিত হয়েছে। এসব মডেল মসজিদে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘মসজিদ থেকে আলেমরা বিদ্বেষ বা হিংসা ছড়ান না, বরং তারা ভালোবাসার আহ্বান ছড়িয়ে দেন।’’ 

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। 

ঢাকা/সিপন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ উপদ ষ ট জন য প ক ষমত মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ও টেলিকম কর্মকর্তা বঙ্কিম ব্রহ্মভট্টের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ওই জালিয়াতির তিনিই মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই কেলেঙ্কারির কারণে ব্ল্যাকরকের ঋণ শাখা এবং আরও কয়েকটি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী সংস্থার ৫০ কোটি কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এটিকে ‘বিস্ময়কর’ আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

কে এই বঙ্কিম ব্রহ্মভট্ট

ব্রহ্মভট্ট বৈশ্বিক টেলিকম-পরিষেবা শিল্পে অপেক্ষাকৃত অপরিচিত দুটি সংস্থা—ব্রডব্যান্ড টেলিকম ও ব্রিজভয়েসের সঙ্গে যুক্ত। দুটি সংস্থাই ব্যাঙ্কাই গ্রুপের অধীনে কাজ করে।

২০২৫ সালের জুলাই মাসে ব্যাঙ্কাই গ্রুপ এক্স (পূর্বের টুইটার)-এর একটি পোস্টে ব্রহ্মভট্টকে প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।

এক্সে দেওয়া ব্যাঙ্কাই গ্রুপের পরিচয় দেওয়া হয়েছে এভাবে—‘টেলিকমিউনিকেশন শিল্পে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নেতা, যারা টেলকো, অপারেটর এবং আরও অনেকের সঙ্গে টেলিকম প্রযুক্তি ও ক্যারিয়ার ব্যবসায়িক সৌহার্দ্যকে লালন করে।’

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রহ্মভট্টের প্রতিষ্ঠান সারা বিশ্বের টেলিকম অপারেটরদের অবকাঠামো ও সংযোগের সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

মনে হচ্ছে, ব্রহ্মভট্টের লিঙ্কডইন প্রোফাইলটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক মাস আগেও ব্রহ্মভট্ট নিউইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে অফিস চালাতেন।

জালিয়াতির ধরন

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে করা মামলায় দাবি করা হয়েছে, ব্রহ্মভট্টের প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ বকেয়া রয়েছে। ব্ল্যাকরকের এইচপিএস ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার্সের নেতৃত্বে ঋণদাতারা তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া চালান ও ভুয়া পাওনা অ্যাকাউন্ট তৈরি করার অভিযোগ এনেছেন। বড় অঙ্কের ঋণের জন্য জামানত হিসেবে ওইসব অ্যাকাউন্ট বানানো হয়েছিল।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্রহ্মভট্টের প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল যখন ভারত ও মরিশাসে স্থানান্তর করা হয়েছিল, তখন তাদের নেটওয়ার্ক কাগজে-কলমে আর্থিক শক্তির একটি মায়াজাল তৈরি করা হয়েছিল।

তবে ব্রহ্মভট্টের আইনজীবী এই জালিয়াতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ঋণদাতারা দাবি করেছেন, ব্রহ্মভট্ট কারিওক্স ক্যাপিটাল ও বিবি ক্যাপিটাল এসপিভির মতো আর্থিক সংস্থার এক জটিল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন, যা ব্ল্যাকরকের মতো কয়েকটি বেসরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রহ্মভট্ট ভুয়া গ্রাহক চালান তৈরি করেন এবং সেই জাল কাগজপত্র দিয়ে জামানত তৈরি করে তার বিপরীতে ৫০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পরে তিনি ভারত ও মরিশাসে সম্পদ স্থানান্তর করেন। এখন তাঁর দুটি কোম্পানি এবং ব্রহ্মভট্ট নিজে দেউলিয়া হওয়ার আবেদন করেছেন।

গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্রহ্মভট্টের আইনজীবী কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, জালিয়াতির সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ