Risingbd:
2025-11-01@11:54:25 GMT

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

Published: 1st, November 2025 GMT

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও লাস্যময়ী নায়িকা পরীমণি—যার প্রতিটি উপস্থিতিই যেন খবর! প্রতি বছরই জন্মদিনে জমকালো আয়োজন করেন তিনি। তবে এবারের জন্মদিনে দেশ নয়, গন্তব্য ছিল বিদেশ—মালয়েশিয়া!

গত ২৩ অক্টোবর জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে ১০ দিনের সফরে মালয়েশিয়া উড়াল দেন পরী। রোদ, সমুদ্র আর রঙিন আলোয় মিশে কেটেছে তার সেই দশ দিন। শনিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে জানালেন, এই সফর ছিল একেবারেই বিশেষ ও স্মরণীয়।

আরো পড়ুন:

ডাইনির সাজে শাবনূর!

পর্দায় ‘মহল্লা’র ভালো-মন্দ

পরীমণির ভাষায়, “দেশের বাইরে এভাবে ১০ দিনের সেলিব্রেশনের প্ল্যান এই প্রথম। আমাদের টিমে ছিল মোট সাতজন—আমার ছেলে, তার ন্যানি মোবারক, ম্যানেজার ভাই তুরান, আমার একমাত্র বন্ধু শাওন, প্রিয় মানুষ চঞ্চল, বরিশাইল্লা মনুজান নাইম আর আমি নিজে!”

নায়িকার বর্ণনা যেন রোমাঞ্চকর কোনো ট্রাভেল ডায়েরি, “যাওয়ার দিন হইহই করতে করতে গেলাম! কত ছবি-ভিডিও করলাম সারা পথ। ১০ দিন একসাথে কত রকম নতুন অভিজ্ঞতা হলো আমাদের। দুঃখ হলো, হাসি হলো, আনন্দ হলো—আর সারাজীবন মনে রাখার মতো অনেক সুন্দর স্মৃতি জমে গেল।”

তবে ভ্রমণের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা না পাওয়ার কারণও জানিয়েছেন তিনি—“আমরা ঘুরতে যাওয়ার সময়টুকু সত্যি সত্যিই উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। আমি তো সিম কার্ডই কিনি নাই! তাই এখন থেকে ধীরে ধীরে ছবি-ভিডিও শেয়ার করবো। আর সব কৃতিত্ব শাওনের—ও-ই সব ক্যাপচার করেছে।”

পোস্টে সকলকে ট্যাগ দিয়ে পরীমণি লিখেছেন, “ধন্যবাদ তোমাদের সবাইকে। আমার জীবনে তোমাদের পেয়ে আমি অনেক খুশি। ভালোবাসি সবাইকে।”

মালয়েশিয়ার রোদে রোদে, ঢেউয়ের তালে তালে পরীমণির জন্মদিন যেন রূপকথার ছুটির মতোই রঙিন—ভূমিকা, প্রেম, বন্ধুত্ব আর একটুখানি ড্রামা—সব মিলিয়ে ‘পরীময়’ দশ দিন! 

ঢাকা/রাহাত/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ও টেলিকম কর্মকর্তা বঙ্কিম ব্রহ্মভট্টের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ওই জালিয়াতির তিনিই মূল পরিকল্পনাকারী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই কেলেঙ্কারির কারণে ব্ল্যাকরকের ঋণ শাখা এবং আরও কয়েকটি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী সংস্থার ৫০ কোটি কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এটিকে ‘বিস্ময়কর’ আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

কে এই বঙ্কিম ব্রহ্মভট্ট

ব্রহ্মভট্ট বৈশ্বিক টেলিকম-পরিষেবা শিল্পে অপেক্ষাকৃত অপরিচিত দুটি সংস্থা—ব্রডব্যান্ড টেলিকম ও ব্রিজভয়েসের সঙ্গে যুক্ত। দুটি সংস্থাই ব্যাঙ্কাই গ্রুপের অধীনে কাজ করে।

২০২৫ সালের জুলাই মাসে ব্যাঙ্কাই গ্রুপ এক্স (পূর্বের টুইটার)-এর একটি পোস্টে ব্রহ্মভট্টকে প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।

এক্সে দেওয়া ব্যাঙ্কাই গ্রুপের পরিচয় দেওয়া হয়েছে এভাবে—‘টেলিকমিউনিকেশন শিল্পে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নেতা, যারা টেলকো, অপারেটর এবং আরও অনেকের সঙ্গে টেলিকম প্রযুক্তি ও ক্যারিয়ার ব্যবসায়িক সৌহার্দ্যকে লালন করে।’

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রহ্মভট্টের প্রতিষ্ঠান সারা বিশ্বের টেলিকম অপারেটরদের অবকাঠামো ও সংযোগের সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

মনে হচ্ছে, ব্রহ্মভট্টের লিঙ্কডইন প্রোফাইলটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক মাস আগেও ব্রহ্মভট্ট নিউইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে অফিস চালাতেন।

জালিয়াতির ধরন

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে করা মামলায় দাবি করা হয়েছে, ব্রহ্মভট্টের প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ বকেয়া রয়েছে। ব্ল্যাকরকের এইচপিএস ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার্সের নেতৃত্বে ঋণদাতারা তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া চালান ও ভুয়া পাওনা অ্যাকাউন্ট তৈরি করার অভিযোগ এনেছেন। বড় অঙ্কের ঋণের জন্য জামানত হিসেবে ওইসব অ্যাকাউন্ট বানানো হয়েছিল।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্রহ্মভট্টের প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল যখন ভারত ও মরিশাসে স্থানান্তর করা হয়েছিল, তখন তাদের নেটওয়ার্ক কাগজে-কলমে আর্থিক শক্তির একটি মায়াজাল তৈরি করা হয়েছিল।

তবে ব্রহ্মভট্টের আইনজীবী এই জালিয়াতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ঋণদাতারা দাবি করেছেন, ব্রহ্মভট্ট কারিওক্স ক্যাপিটাল ও বিবি ক্যাপিটাল এসপিভির মতো আর্থিক সংস্থার এক জটিল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন, যা ব্ল্যাকরকের মতো কয়েকটি বেসরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রহ্মভট্ট ভুয়া গ্রাহক চালান তৈরি করেন এবং সেই জাল কাগজপত্র দিয়ে জামানত তৈরি করে তার বিপরীতে ৫০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, পরে তিনি ভারত ও মরিশাসে সম্পদ স্থানান্তর করেন। এখন তাঁর দুটি কোম্পানি এবং ব্রহ্মভট্ট নিজে দেউলিয়া হওয়ার আবেদন করেছেন।

গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্রহ্মভট্টের আইনজীবী কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, জালিয়াতির সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ