গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার না হলে পুলিশ সংস্কার অর্জিত হবে না: ইফতেখারুজ্জামান
Published: 1st, November 2025 GMT
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার নিশ্চিত না হলে চলমান পুলিশ সংস্কার উদ্যোগ অর্জিত হবে না।
‘বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান। আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এখনো প্রশাসনে দলীয় প্রভাব বিস্তারের সংস্কৃতি চলমান আছে বলে মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এখনো নিয়োগ পদোন্নতি থেকে শুরু করে কাকে ত্যাগ করা হবে, কাকে ত্যাগ করা হবে না, মামলা বাণিজ্য, গ্রেপ্তার ও জামিন বাণিজ্য সবকিছুর মধ্যে চলছে। নিঃসন্দেহে কোনো ডাউট নেই এবং এটা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন‘আমার লোক, তোমার লোক’ ব্যাধি থেকে দলগুলোকে বের হতে হবে: আসিফ নজরুল৬ মিনিট আগেপ্রথম আলো–অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। আজ শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এই গোলটেবিল বৈঠক হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইফত খ র জ জ ম ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া এক কিশোর ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে।
নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করে শিহাব।
অভিভাবকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শিহাব তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। আজ শনিবার সকালে সে মারা যায়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাত আটটার দিকে তাকে মারধর করা হয়। মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিহাব ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে পৌঁছালে প্রেমিকার আত্মীয়স্বজনেরা তাকে তাড়া করে। আত্মরক্ষায় শিহাব রাতের অন্ধকারে মাঠের দিকে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে সে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এ সময় কয়েকজন পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করেন। পরে তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর হামলাকারীরা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা শিহাবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ২৪ অক্টোবর রাতে শিহাবের বাবা রিপন গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দিন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিমকে (৩২) আসামি করা হয়। পাশাপাশি আরও আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আসামিদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।