ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে হ্যারি-মেগান
Published: 11th, January 2025 GMT
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল। আর্চওয়েলে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করছেন। তাঁদের পক্ষ থেকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়া লোকজনকে আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। নিজেদের বাড়ির দরজাও খোলা রাখার কথা বলেছেন তাঁরা। হ্যালো ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান আর্চওয়েল ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তাঁরা নিজেদের পোশাক, শিশুদের নানা উপকরণসহ ত্রাণকার্যে উপযোগী নানা সরঞ্জাম দান করেছেন। এ ছাড়া খাবারের ব্যবস্থা করতে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন।
হ্যারি ও মেগান ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবেও পরিচিত। ২০২০ সালে রাজকীয় জীবন ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি। তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেসিটো এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে দাবানলের প্রভাব পড়েনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিটি অর্ধেই বাধ্যতামূলক পানি পানের বিরতি
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো জুড়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রচণ্ড গরমের আশঙ্কায় খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সামনে রেখে টুর্নামেন্টটিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নিয়ম। প্রতিটি ম্যাচের দুই অর্ধেই নির্দিষ্ট সময়ে থাকবে তিন মিনিটের বাধ্যতামূলক ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ বা পানি পানের বিরতি।
ফিফা জানিয়েছে, প্রতি অর্ধের ২২তম মিনিটে খেলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যাবে তিন মিনিটের জন্য। মাঠে যে আবহাওয়া-পরিস্থিতিই থাকুক না কেন; গরম, শীত, ইনডোর ভেন্যু কিংবা খোলা আকাশ। বিরতি হবে নিয়মিতভাবেই। ফলে ম্যাচগুলো কার্যত চারটি ছোট ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন:
বেগম রোকেয়া পদকে সম্মানিত ঋতুপর্ণা চাকমা
‘নারী শাসিত পুরুষ’ বলায় আসিফকে নিয়ে ক্ষুব্ধ ওমর সানী
টুর্নামেন্টের প্রধান কর্মকর্তা মানলো জুবিরিয়া বলেন, “যেখানেই ম্যাচ হোক, আকাশে মেঘ থাকুক বা রোদ ঝলমল, হাইড্রেশন ব্রেক থাকবে বাধ্যতামূলক। তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করছে না।”
এর আগে ক্লাব বিশ্বকাপসহ কিছু প্রতিযোগিতায় চরম গরমের সময় নিয়মটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে সেটা ছিল পরিস্থিতিনির্ভর। যেমন- ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করলে বিরতি দেওয়া হতো। ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নিয়মটি স্থায়ীভাবে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে।
তীব্র গরমে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বহু খেলোয়াড় অভিযোগ তুলেছিলেন। বেনফিকার তরুণ ফরোয়ার্ড আন্দ্রেস শেলডারাপ এক ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, “এত গরমে আমি কখনো খেলিনি। শরীরের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এটা একদমই স্বাস্থ্যকর নয়।”
চেলসির এনজো ফের্নান্দেজও একই সুরে বলেন, “একদিন মাথা ঘুরছিল, মাঠেই বসে পড়েছিলাম। এমন আবহাওয়ায় খেলা সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ।”
ফিফা জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই কোচ ও সম্প্রচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আগামী ১১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। পূর্ণাঙ্গ সূচি ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এই নিয়ম যুক্ত হওয়ায় টুর্নামেন্টে গতি, কৌশল ও পরিকল্পনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা/আমিনুল