নিয়োগপ্রার্থীর প্রোফাইল লাল করার স্ক্রিনশট ফেসবুকে দিলেন সহ-উপাচার্য
Published: 16th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত হয়েছিলেন এক প্রার্থী। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই বিভাগে যোগদান করার কথা ছিল তাঁর। তবে ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) ফলাফল পজিটিভ আসায় তাঁর এই নিয়োগ আটকে যায়। গত বছরের জুলাইয়ে ওই প্রার্থী ফেসবুক প্রোফাইলে লাল ফ্রেম দিয়েছিলেন। এই লাল ফ্রেম দেওয়ার একটি স্ক্রিনশট গত বৃহস্পতিবার রাতে কাভার ফটো হিসেবে আপলোড হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের ফেসবুক আইডিতে।
স্ক্রিনশটটি সহ-উপাচার্যের ফেসবুক আইডিতে আপলোড হওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনায় মেতে উঠেছেন। নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো.
নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই প্রার্থীর ডোপ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। তাই তাঁর পক্ষে অনেক শিক্ষার্থী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে ওই প্রার্থী যে জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, সেটি জানিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইলে ডাউনলোড হয়। সেখান থেকেই আপলোড হয়েছে। নিয়োগে প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, চলতি ৪ আগস্ট নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের তিন পদের বিপরীতে পরীক্ষা হয়েছিল। এতে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন। তিন ধাপের এই পরীক্ষার পর তিনজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করে কর্তৃপক্ষ। পরে সিন্ডিকেটে ৮ আগস্ট এই নিয়োগের অনুমোদন হয়।
নিয়মানুযায়ী নিয়োগ অনুমোদন হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ দিয়ে প্রার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত বিভাগে শিক্ষক পদে যোগদান করতে পারেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো পদে যোগদান করতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদের পাশাপাশি মাদক পরীক্ষার ফলাফলও দিতে হয়। এই নিয়ম সম্প্রতি চালু হয়েছে। নাট্যকলা বিভাগে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়া তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের মাদক পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হয়। এর পর থেকে ওই দুই প্রার্থী প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা কখনো মাদক গ্রহণ করেননি। এই পরীক্ষার ফল ভুল।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া দুই প্রার্থী ডোপ টেস্টে পজিটিভ০৭ আগস্ট ২০২৫জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ফেসবুক তেমন চালান না। এ কারণে এ বিষয়ে বলতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
পরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সহ-উপাচার্যের এ পোস্ট দেখেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছ। এখানে কারও প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ফ সব ক ফল ফল আপল ড
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়োগপ্রার্থীর প্রোফাইল লাল করার স্ক্রিনশট ফেসবুকে দিলেন সহ-উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত হয়েছিলেন এক প্রার্থী। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই বিভাগে যোগদান করার কথা ছিল তাঁর। তবে ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) ফলাফল পজিটিভ আসায় তাঁর এই নিয়োগ আটকে যায়। গত বছরের জুলাইয়ে ওই প্রার্থী ফেসবুক প্রোফাইলে লাল ফ্রেম দিয়েছিলেন। এই লাল ফ্রেম দেওয়ার একটি স্ক্রিনশট গত বৃহস্পতিবার রাতে কাভার ফটো হিসেবে আপলোড হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের ফেসবুক আইডিতে।
স্ক্রিনশটটি সহ-উপাচার্যের ফেসবুক আইডিতে আপলোড হওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনায় মেতে উঠেছেন। নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, স্ক্রিনশটটি কীভাবে তাঁর ফেসবুক আইডিতে আপলোড হয়েছে তিনি জানেন না। তিনি ওই সময় একটি বেসরকারি হাসপাতালের অস্ত্রোপচারকক্ষে ছিলেন। তাঁর হাতের অস্ত্রোপচার হয়েছে। এ কারণে ফোন তাঁর হাতে ছিল না।
নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই প্রার্থীর ডোপ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। তাই তাঁর পক্ষে অনেক শিক্ষার্থী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে ওই প্রার্থী যে জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, সেটি জানিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইলে ডাউনলোড হয়। সেখান থেকেই আপলোড হয়েছে। নিয়োগে প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, চলতি ৪ আগস্ট নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের তিন পদের বিপরীতে পরীক্ষা হয়েছিল। এতে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন। তিন ধাপের এই পরীক্ষার পর তিনজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করে কর্তৃপক্ষ। পরে সিন্ডিকেটে ৮ আগস্ট এই নিয়োগের অনুমোদন হয়।
নিয়মানুযায়ী নিয়োগ অনুমোদন হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ দিয়ে প্রার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত বিভাগে শিক্ষক পদে যোগদান করতে পারেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো পদে যোগদান করতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদের পাশাপাশি মাদক পরীক্ষার ফলাফলও দিতে হয়। এই নিয়ম সম্প্রতি চালু হয়েছে। নাট্যকলা বিভাগে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়া তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের মাদক পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হয়। এর পর থেকে ওই দুই প্রার্থী প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা কখনো মাদক গ্রহণ করেননি। এই পরীক্ষার ফল ভুল।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া দুই প্রার্থী ডোপ টেস্টে পজিটিভ০৭ আগস্ট ২০২৫জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ফেসবুক তেমন চালান না। এ কারণে এ বিষয়ে বলতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
পরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সহ-উপাচার্যের এ পোস্ট দেখেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছ। এখানে কারও প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই।