নারায়ণগঞ্জের একটি গোষ্ঠী চানমারিকে জিম্মি করেছিল : টিপু
Published: 13th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, একটা সময় ছিল চানমারির কথা শুনলে আমরা ভয় পেতাম। চানমারি এসে আমরা অনুষ্ঠান করবো কখনো চিন্তাও করতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জের একটি গোষ্ঠী চানমারিকে জিম্মি করে রেখেছিল তাদের স্বার্থের জন্য। চানমারিতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে বহু গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসবাস করে।
আর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে খুনি শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমান পালিয়ে যাওয়ার চানমারি মুক্ত হয়েছে। এখন চানমারির মানুষ প্রাণ খুলে বলতে পারে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় শহরের চানমারি নতুন সড়কের সামনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, গত ১৬টি বছর বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার পায় নাই। মানবিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অধিকার, মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না, রাজনৈতিক দলগুলো মিটিং মিছিল সমাবেশ করতে পারে নাই। আর এই সুযোগে ফ্যাসিস আওয়ামী লীগ ব্যাংক লুট করেছে, শেয়ার বাজার লুট করেছে, এদেশের অর্থনীতি কে ধ্বংস করে দিয়ে হাজার হাজার টাকা লুটপাট করে তারা বিদেশে পাচার করেছে।
আর যারাই তাদের এই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের কণ্ঠরোধ করে দিয়েছে মামলা হামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করেছে এবং আয়না ঘর করে মানুষকে জিম্মি করে অন্ধকারে রেখে নির্মল অত্যাচার করেছিল। তাদের অত্যাচারে কেউ সত্য কথা বলতে সাহস পায়নি। হত্যা,গুম, খুনের মাধ্যমে দাবিয়ে রাখা হয়েছিল।
মহানগর ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল বাবু'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মজিবর রহমান, হাবিবুর রহমান মিঠু, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর বিএনপি নেতা সরকার আলম, আক্তার হোসেন, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাচ্চু বাদশা, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়া, সাইদুর রহমান টিটু, মানিক বেপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলী সাদিক শিপলুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।