Samakal:
2025-11-02@23:52:00 GMT

তিন বছর পানির নিচে আড়াইশ বিঘা

Published: 17th, January 2025 GMT

তিন বছর পানির নিচে আড়াইশ বিঘা

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বাগমারা বিলে এক সময় সারাবছরই বিভিন্ন ফসল আবাদ হতো। এখন সেখানে কোমর পর্যন্ত পানি। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কোনো ফসল আবাদ হয় না। এতে সাধারণ কৃষকই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, প্রভাব পড়েছে গোটা এলাকায়। 

তিন বছর আগে বাগমারা বিল-সংলগ্ন কালভার্টটির মুখ বন্ধ করে সড়ক নির্মাণ করা হয়। এতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আড়াই শতাধিক বিঘা জমিতে ফসল আবাদ বন্ধ। ফলে প্রতিবছর লোকসান গুনতে হচ্ছে এলাকার কৃষকদের। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেও সমাধান মেলেনি। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে সড়ক নির্মাণ হলেও কর্মকর্তা দায় চাপান আগের কর্তার ওপর। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও নিবিড় তদারকি এবং সমন্বিত ত্বরিত পদক্ষেপে উদ্যোগ নেই। 
ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই বছরে একাধিকবার কৃষকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করে আসছি। কয়েক দিন আগেও জলাবদ্ধতার ভিডিও করে তাঁকে দিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। 
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী নীতীশ কুমার বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে কোনো সুরাহা করা যায় কিনা চেষ্টা করে দেখা হবে। 
একই কথা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন। তিনিও কয়েক মাস আগে যোগদান করেছেন জানিয়ে বলেন, নানা ব্যস্ততার কারণে বিল এলাকায় যাওয়া হয়নি। সরেজমিন দেখে কালভার্ট নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালিকাপুর ইউনিয়নের বাগমারা বিলের পানি নিষ্কাশনে উলাবাড়িয়া গ্রামে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। এ কালভার্ট দিয়েই ধোপাখালি খাল ও ঝিয়ারী গ্রামের পাশ দিয়ে গোন্ড-গোহালিয়া হয়ে আত্রাই নদীতে নেমে যেত। বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র কালভার্টটি একসময় ভেঙে যায়। কিন্তু তা মেরামত না করে মাটি ভরাট করে মুখ বন্ধ করা হয়। পরে ইউনিয়নের কুশাতলা বাজার থেকে ঝিয়ারী গ্রাম অভিমুখে সড়ক পাকাকরণের কাজ শেষ করে। এ অবস্থায় বিল থেকে পানি নামতে না পেরে তিন বছর ধরে জলাবদ্ধ হয়ে আছে এলাকাটি। কোনো ফসল ফলাতে পারছেন না কৃষকরা। 

উলাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক তুহিন হোসেন বলেন, এই বিল ঘিরে আছে বাগমারা, উলাবাড়িয়া, ঝিয়ারীগ্রাম, বামনিগ্রাম এবং ধনেশ্বরসহ কয়েকটি গ্রাম। আড়াইশ বিঘা জমিতে আগে ফসল আবাদ হতো। কালভার্ট বন্ধ হবার পর থেকে বিলের জমিগুলো পানির নিচে। কোনো ফসল ফলাতে পারছি না।
একই এলাকার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিলে আমার এক বিঘা জমি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সেখানে চাষ করতে পারছি না। বিলের উপরিভাগে যে জমিগুলো রয়েছে, সেগুলোও কেউ চাষ করে না। কারণ, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই সেগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও শ্রমিক লাগিয়ে ফসল আবাদ করলেও কোনো লাভ হয় না। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসন ছাড়া কোনো পথ নেই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ