পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
Published: 16th, August 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি সীমান্তে করতোয়া ও সাও নদীর মোহনা থেকে মানিক হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ ও বিজিবি। ওই যুবক দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেন স্থানীয়রা। তার মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মানিক হোসেনের বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তে একদল চোরাকারবারি গরু আনতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও নিখোঁজ হন মানিকসহ চারজন। তাদের মধ্যে আব্দুল হুদা ওরফে জমির উদ্দিন নামে একজনকে শনিবার সকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এখনো আরো দুজন নিখোঁজ আছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইবুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় মানুষদের একটি দল সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই দিন থেকে চারজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ মানিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করছি, বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেউ অপরাধ করলে তাকে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু, নির্বিচারে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির হোসেন বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা মানিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ওই যুবকের মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মাথার পেছনে গুলি ঢুকে চোখের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। আগে তার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেছেন, তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ভারতের অভ্যন্তরে আটক করে একজনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।
ঢাকা/নাঈম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ য বক র তদন ত মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
ওই ব্যক্তির নাম বদরউদ্দীন (৩০)। তিনি জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।
আরো পড়ুন:
পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা
দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক: বিজিবির মহাপরিচালক
বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরউদ্দীন মানব পাচারে জড়িত। বুধবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয় জনকে ভারতে পাচার করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করলে বদরউদ্দীনের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে, ধরা পড়েন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিজিবি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিএসএফ এক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।’’
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘‘অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব