বর্তমান দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। নতুন দক্ষতা কর্মজীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার হওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা নতুন সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
ইউডেমি

ইউডেমিতে ডিজাইন, মিউজিক, ফটোগ্রাফি, আইটি, সফটওয়্যার, বিজনেস ইত্যাদি বিষয়ের ওপর এক লাখ ৮৩ হাজারেরও বেশি ভিডিও কোর্স আছে। ফটোশপ, প্রোগ্রামিং, মেশিন লার্নিংসহ যে বিষয়েই কিছু শিখতে চান– ইউডেমিতে সেই সংশ্লিষ্ট কোর্স পাবেন। এসব কোর্স আপনার ক্যারিয়ারের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
https://www.

udemy.com/
কোর্সেরা

অনলাইন কোর্সের জন্য কোর্সেরা আরেকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। কোর্সেরার কোর্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-সমর্থিত ক্লাসও অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেগুলোর সাহায্যে দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ থাকে। কম্পিউটার, ডেটা সায়েন্স, ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিভিন্ন কোর্স পাওয়া যায় এই ওয়েবসাইটে।
https://www.coursera.org/
এডেক্স

বিশ্বের অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। গ্রাহকরা চাইলে এডেক্সের ‘ফ্রি-টু-ডিগ্রি’ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, যা তাদের কোডিং, নেটওয়ার্কিং, বিজনেস ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
https://www.edx.org/
কোড একাডেমি

অনেক বড় চাকরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও কোডিংয়ের দক্ষতা প্রয়োজন হয়। এসব বিষয় আরও ভালোভাবে শিখতে কোড একাডেমির সাহায্য নিতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে এবং অর্থের বিনিময়ে উভয় ধরনের কোর্সই আছে। বিনামূল্যের কোর্সগুলোতে বিভিন্ন রকম কোডিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে, আর মাসিক সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক কোর্সগুলোতে ধাপে ধাপে শেখার সুযোগ আছে এবং কোর্স শেষে সার্টিফিকেটও পাওয়া যাবে। 
https://www.codecademy.com/
স্কিলক্রাশ

যারা অন্য পেশা থেকে কোডিং ও ডিজাইন খাতে পেশা পরিবর্তন করতে চান, তাদের লক্ষ্য করে এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে। স্কিলক্রাশের কোর্সগুলো প্রজেক্ট ও মেন্টরভিত্তিক এবং কোর্সে পুরো একটি প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করতে হয়। এ জন্য মেন্টররা প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। নিয়োগদাতারা অনেক সময় বাস্তব জীবনে কোনো প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন কিনা, তার প্রমাণ দেখতে চায়। এই কোর্স করলে নিয়োগদাতাদের এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।  
https://skillcrush.com/

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ন্যানো বানানা এআই শাড়ি’ ট্রেন্ড, কীভাবে বানাবেন পছন্দের ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৯৯০ দশকের মতো করে শাড়ি পরার ছবি পোস্ট করছেন নেটিজেনরা। এআই টুল দিয়ে শাড়ি পরা ছবি নিজের মনের মতো সম্পাদনা করে পোস্ট করা হচ্ছে এসব ছবি। গুগলের জেমিনি টুল, ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি দিয়ে সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে ছবি। 

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের প্রফেশনাল আইডি আছে, তারা এই ট্রেন্ডে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া সৌখিন ও প্রযুক্তিবান্ধব নারীরাও পছন্দ করেছেন এই ট্রেন্ড। বিভিন্ন ধরনের প্রম্পট ব্যবহার করে ছবি তৈরি করে নিজের ছবিতে অন্য মাত্রা যোগ করছেন নেটিজেনরা।  

আরো পড়ুন:

পোশাক উৎপাদনের ফলে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

নিজের প্রতি সদয় কেন হতে হবে?

কীভাবে বানাবেন এআই শাড়ি স্টাইলের ছবি?

প্রথম ধাপ
শুরুতে গুগল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। এজন্য আপনার ফোন বা কম্পিউটারে গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন। এরপর গুগলের AI টুল Gemini অথবা ChatGPT খুলুন। টুল ব্যবহার করতে চাইলে https://gemini.google.com বা https://chat.openai.com এই লিঙ্কে যান।

দ্বিতীয় ধাপ
‘ছবি সম্পাদনা’ অপশনে গিয়ে Gemini-এর হোমপেজে যান। এবার আপনি Try photo editing বা ‘ছবি সম্পাদনার চেষ্টা করুন’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। এবং আপনি একটা ছোট বানানা আইকন দেখতে পাবেন—যেটা এই ট্রেন্ডের ইঙ্গিত!

তৃতীয় ধাপ
মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে নিজের ছবি আপলোড করে নিন। চেষ্টা করুন যেন মুখটা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। ক্যামেরার দিকে তাকানো বা হালকা হাসিমুখে ছবি হলে সম্পাদনা ভালো হবে।

চতুর্থ ধাপ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ছবির সঠিক বর্ণনা দেওয়া বা  সঠিক প্রম্পট দেওয়া।  আপনি এআই-কে যেভাবে বলবেন, ছবিটা সেই অনুযায়ী বানাবে। চাইলে আপনি শাড়ির রঙ, ব্যাকগ্রাউন্ড, মুড, ফিল্টার ইত্যাদি কাস্টমাইজ করেও লিখতে পারেন।

শেষ ধাপ
বর্ণনা দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই ফলাফল দেখুন এবং ডাউনলোড করুন।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ন্যানো বানানা এআই শাড়ি’ ট্রেন্ড, কীভাবে বানাবেন পছন্দের ছবি