সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম কর্ম দিয়ে জয় করেছেন মানুষের হৃদয়
Published: 21st, October 2025 GMT
বাংলাদেশের শিক্ষা এবং সাহিত্য অঙ্গনে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। তাঁর শিক্ষা শুধু শ্রেণিকক্ষে আবদ্ধ ছিল না, ছড়িয়ে পড়েছিল শুভচিন্তার প্রতে৵ক মানুষের মনে। তাঁর মৃত্যু মানে এক প্রজ্ঞাদীপ্ত যুগের অবসান। জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মননশীলতার জগতে গভীর এক শূন্যতা সৃষ্টি করেছে তাঁর চলে যাওয়া।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিনি অডিটরিয়ামে গতকাল সোমবার ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে বরেণ্য শিক্ষক ও লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁরা প্রয়াত মনজুরুল ইসলামের জীবন ও কর্ম অনুশীলনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তিনি থাকবেন আমাদের প্রেমে, আমাদের প্রার্থনায়।’
‘এ ট্রিবিউট টু প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম’ শিরোনামে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ। মুখ্য আলোচক ছিলেন মদনমোহন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের বাল্যবন্ধু ও সহপাঠী গোলাম কাদির মোহাম্মদ আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রণবকান্তি দেব।
মনজুরুল ইসলামের সঙ্গে কাটানো শৈশব, কৈশোর এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণা করেন গোলাম কাদির মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সাধারণ জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে মনজুরুল ইসলাম অসাধারণ এক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। পদ, পদবি, খ্যাতির কোনো অহংকার তাঁকে স্পর্শ করেনি। ফলে মৃত্যুর আগে মনজুরুল ইসলাম তাঁর কর্ম দিয়ে, বন্ধুবাৎসল্য দিয়ে জয় করেছেন সব বয়সী মানুষের হৃদয়।’
আরও পড়ুনশিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই১০ অক্টোবর ২০২৫প্রয়াত অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্মরণসভা। পরে প্রয়াতের জীবনী পাঠ করেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাকসূরা হাশেম।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন শামসুল আলম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান রেজাউল কবীর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নসরত আফজা চৌধুরী। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বাতী রানী দেবনাথ।
আরও পড়ুনএকজন ভালোবাসাভরা মানুষের বিদায় ১১ অক্টোবর ২০২৫আলোচনা শেষে প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ আহমদ। সভায় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এবং বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মনজ র ল ইসল ম র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাঁচ আসনে বিএনপির নতুন প্রার্থী কারা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে আরও চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী ঘোষণা করেন। তবে চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ) ও চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর–পতেঙ্গা) আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। ফলে ১৬ আসনের মধ্যে দুটি খালি রয়েছে।
একই দিন কক্সবাজার–২ (কুতুবদিয়া–মহেশখালী) আসনেরও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আগে ১০টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ দল থেকে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।
আজ ঘোষণা করা চট্টগ্রামের চার আসনের প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালি) আসনে নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল মোস্তফা আমিন। এর মধ্যে নতুন মুখ হলেন নাজমুল মোস্তফা। এ ছাড়া কক্সবাজার–২ (কুতুবদিয়া–মহেশখালী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ চারটিসহ চট্টগ্রামের মোট ১৬ আসনের মধ্যে ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১০টির প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন দলের মহাসচিব। তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম–১ (মিরসরাই) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী) আসনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম–১০ (পাহাড়তলী–হালিশহর) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম–১৩ (আনোয়ারা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম ও চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী।
মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে নতুন মুখ হিসেবে রয়েছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী এবং দলীয় নেতা নুরুল আমিন ও সরওয়ার আলমগীর।
এদিকে প্রার্থী ঘোষণার পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এরশাদ উল্লাহ ও হুম্মাম কাদের চৌধুরীর আসন ছাড়া বাকি সাতটিতে প্রার্থী বদলের জন্য রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৬টিতে বাকি, মহাসড়ক অবরোধ০৩ নভেম্বর ২০২৫