হোয়াটসঅ্যাপের রসিকতা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড
Published: 4th, November 2025 GMT
ব্যবহারকারীদের সঙ্গে রসিকতা করতে গিয়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) হোয়াটসঅ্যাপের দেওয়া একটি হাস্যরসাত্মক পোস্টকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানটির গোপনীয়তা নীতিমালা নিয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। হাস্যরসাত্মক পোস্টটির রেশ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যালও ব্যঙ্গাত্মক জবাব দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে।
হোয়াটসঅ্যাপের হাস্যরসাত্মক পোস্টে লেখা ছিল, ‘যারা বার্তার শেষে “এলওএল” লেখেন, আমরা তাদের দেখি, তাদের সম্মান করি।’ এই একটি বাক্যই যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যবহারকারীদের টাইমলাইন ভরে যায় প্রশ্নে। সবার প্রশ্ন, হোয়াটসঅ্যাপ যদি ব্যবহারকারীদের ‘দেখে’, তবে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তির ব্যবহার কোথায় গেল? একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘তাহলে কোনো গোপনীয়তাই নেই?’ আরেকজন ঠাট্টা করে লেখেন, ‘তাহলে কি হোয়াটসঅ্যাপের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এবার চাকরি হারাবেন?’ অল্প সময়েই ‘এন্ড টু এন্ড ডিক্রিপশন’ বাক্যটি ট্রেন্ড হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মিমে ছেয়ে যায় এক্সের পাতা।
বিতর্ক বাড়তে থাকায় এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ‘ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত বার্তা কেবল তার ও প্রাপকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। “উই সি ইউ” কথাটি আক্ষরিক নয়। আমরা বলতে চেয়েছি, যারা বার্তার শেষে এলওএল লেখেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা অনুভব করি।’ হোয়াটসঅ্যাপের এ বিবৃতির পরও বিভ্রান্তি কাটেনি অনেকের। এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, উই সি ইউ? তাহলে গোপন চ্যাট কোথায় গেল? জবাবে হোয়াটসঅ্যাপ আবারও স্পষ্ট করে জানায়, ‘আমরা “সি ইউ” বলেছি রূপক অর্থে। আপনার ব্যক্তিগত বার্তা নিরাপদ এবং কেউই এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও তা দেখতে পারে না।’
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে পাল্টা জবাব দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল। হোয়াটসঅ্যাপের পোস্ট উদ্ধৃত করে সিগন্যালের প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘তারা আপনাদের মেটাডেটা দেখে, এই অর্থে তারা উই সি ইউ বলেছে। আর সিগন্যাল? আমরা কিছুই দেখি না। বিশ্বাস না হলে আমাদের ওপেন সোর্স কোড দেখে নিন।’
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প র ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াটসঅ্যাপের রসিকতা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড
ব্যবহারকারীদের সঙ্গে রসিকতা করতে গিয়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) হোয়াটসঅ্যাপের দেওয়া একটি হাস্যরসাত্মক পোস্টকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানটির গোপনীয়তা নীতিমালা নিয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। হাস্যরসাত্মক পোস্টটির রেশ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যালও ব্যঙ্গাত্মক জবাব দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে।
হোয়াটসঅ্যাপের হাস্যরসাত্মক পোস্টে লেখা ছিল, ‘যারা বার্তার শেষে “এলওএল” লেখেন, আমরা তাদের দেখি, তাদের সম্মান করি।’ এই একটি বাক্যই যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যবহারকারীদের টাইমলাইন ভরে যায় প্রশ্নে। সবার প্রশ্ন, হোয়াটসঅ্যাপ যদি ব্যবহারকারীদের ‘দেখে’, তবে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তির ব্যবহার কোথায় গেল? একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘তাহলে কোনো গোপনীয়তাই নেই?’ আরেকজন ঠাট্টা করে লেখেন, ‘তাহলে কি হোয়াটসঅ্যাপের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এবার চাকরি হারাবেন?’ অল্প সময়েই ‘এন্ড টু এন্ড ডিক্রিপশন’ বাক্যটি ট্রেন্ড হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মিমে ছেয়ে যায় এক্সের পাতা।
বিতর্ক বাড়তে থাকায় এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ‘ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত বার্তা কেবল তার ও প্রাপকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। “উই সি ইউ” কথাটি আক্ষরিক নয়। আমরা বলতে চেয়েছি, যারা বার্তার শেষে এলওএল লেখেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা অনুভব করি।’ হোয়াটসঅ্যাপের এ বিবৃতির পরও বিভ্রান্তি কাটেনি অনেকের। এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, উই সি ইউ? তাহলে গোপন চ্যাট কোথায় গেল? জবাবে হোয়াটসঅ্যাপ আবারও স্পষ্ট করে জানায়, ‘আমরা “সি ইউ” বলেছি রূপক অর্থে। আপনার ব্যক্তিগত বার্তা নিরাপদ এবং কেউই এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও তা দেখতে পারে না।’
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে পাল্টা জবাব দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল। হোয়াটসঅ্যাপের পোস্ট উদ্ধৃত করে সিগন্যালের প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘তারা আপনাদের মেটাডেটা দেখে, এই অর্থে তারা উই সি ইউ বলেছে। আর সিগন্যাল? আমরা কিছুই দেখি না। বিশ্বাস না হলে আমাদের ওপেন সোর্স কোড দেখে নিন।’
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে