দীর্ঘদিন পর শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে মঞ্চে ফিরেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। সোয়া এক ঘণ্টা গান গেয়েছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে দ্রুত তাকে নেওয়া হয় গুলশানের একটি হাসপাতালে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) একটি শোতে গাইতেও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। এজন্য দ্রুত তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন প্রয়াত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কন্যা সঙ্গীতশিল্পী দীঠি আনোয়ার।
শুক্রবার সঙ্গীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাইদ বলেছিলেন, “সাবিনা আপার ভার্টিগো সমস্যা রয়েছে। হঠাৎ গাইতে গাইতে তিনি ভার্টিগো সমস্যায় পড়েন। এরপর মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড ধরতে গিয়ে ভারসাম্য রাখতে পারেননি। পড়ে যান। তারপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক সব চিকিৎসা করেন। রাত সাড়ে ১০টার সময় আমরা আপাকে নিয়ে বাসার দিকে রওনা করেছি। এখন আপা পুরোপুরি ঠিক আছেন।”
এর আগে, এইচএসবিসি আয়োজিত “আমাদের সাবিনা ইয়াসমিন: আমি আছি থাকবো” অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় রাত ৮টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে একাধিক স্টেজ শো করেন সাবিনা ইয়াসমীন। এরপর আর তাকে মঞ্চে দেখা যায়নি।
ঢাকা/রাহাত/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।