গৌরনদীতে ডাকাতের হামলায় আহত ৩, সন্দেহভাজন ১ জন আটক
Published: 10th, February 2025 GMT
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দনদী গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত ৪টার দিকে মুখোশধারী ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল একটি পিকআপ নিয়ে মজিবর ঘরামীর বসতবাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গৃহকর্তা মজিবর ঘরামী (৬০), তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫০) এবং ছেলে মুদি দোকানী মামুন ঘরামী (৩৬) আহত হন। গুরুতর আহত মামুন ঘরামীকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহকর্তার স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, রাত ৪টার দিকে ডাকাত দল প্রথমে তাদের খোপের মুরগিগুলো ছেড়ে দেয়। এতে শব্দ শুনে তিনি ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ডাকাতরা তাকে ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে মারধর করে।
এ সময় তাদের ছেলে মামুন ঘরামী ঘুম থেকে উঠে ডাকাতদের দেখে চিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা তাকে রাম-দা দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তিনি দৌড়ে মসজিদে গিয়ে মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী জেগে ওঠে।
তবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই ডাকাত দল নগদ তিন লক্ষ টাকা, ২টি স্বর্ণের চেইন, ১টি আংটি, ১ জোড়া কানের দুল, ১টি ব্রেসলেটসহ ২ ভরি ২ আনা স্বর্ণালঙ্কার ও ৬টি বিদেশি ব্যাগ লুট করে পিকআপে করে পালিয়ে যায়।
গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল ম ন ঘর ম গ রনদ
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি