বন্দরে নিজের হাতে বোমা বিস্ফোরণে ডাকাত নিহত, গণপিটুনিতে আহত ২
Published: 16th, August 2025 GMT
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নিজের ছোড়া হাতবোমা বিস্ফোরণে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে আরও দুই ডাকাত আহত হয়েছেন।
আহতদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নিহত ও আহতদের কারো নাম পরিচয় জানা যায় নি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে ডাকাতরা মেঘনা নদী হয়ে নৌপথে এসে কলাগাছিয়া এলাকার বাড়িগুলোতে ডাকাতির চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে সাত থেকে আট জনের একটি ডাকাত দল মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীর মধ্যেবর্তী এলাকায় তীরে ট্রলার থামিয়ে কলাগাছিয়া বাজারে আসে। এক পর্যায়ে তারা বাজারের দোকানে ও বাড়িঘরে ঢুকে পড়ে।
এ সময় টের পেয়ে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ধাওয়া দিলে এক ডাকাত হাত বোমা ছুড়লে সেই বোমা বিস্ফোরণে ওই ডাকাতের এক হাত উড়ে যায়। আহত অবস্থায় সে নদীতে পড়লে পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো.
এছাড়া আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ও আহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টাসহ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান তারা পরিকল্পিতভাবে এবং সংর্ঘবদ্ধ হয়ে এই গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর না দিয়ে বেআইনিভাবে ডাকাতদের গণপিটুনি দেওয়া সমীচীন হয়নি।
পুলিশ ডাকাত দলের পালিয়ে যাওয়া সদস্যদের গ্রেপ্তারসহ সংঘবদ্ধ বেআইনি জনতাকে আইনের আওতায় আনবে বলে উল্লেখ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আহতদ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ